আজ - শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৫:৩৭

অভয়নগরে লকডাউনে কিস্তি আদায়ে ব্যস্ত এনজিও কর্মীরা , বিপাকে সকল ঋণগ্রহীতা

অভয়নগর প্রতিনিধিঃ যশোর যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এনজিওকর্মীরা লকডাউনের মধ্যে কিস্তি আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ৷ ফলে বিপাকে পড়েছেন নিন্মআয়ের ঋণ গ্রহীতারা ৷

ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা৷ ছোট ছোট বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে ব্যবসার কার্যক্রম চালান ৷ এ ছাড়া ও অনেকে এনজিও থেকে সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণ নিয়ে ইজিবাইক , থ্রি হুইলার ,ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যান ,আলমসাধুসহ বিভিন্ন যানবাহন কিনে চালিয়ে তা থেকে আয়করে জীবিকা নির্বাহ করেন ও ঋণের কিস্তি দেন ৷

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় সরকার দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে৷ ফলে সরকারি-বেসরকারি , অফিস আদালত , ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ৷ যার ফলে আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায় অনেক মানুষের ৷ এ

মন পরিস্থিতিতে এনজিও ঋণের কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নিন্ম আয়ের ঋণগ্রহীতারা ৷ অধিকাংশ এনজিও বিবাহিত নারীদের সমিতির মাধ্যমে ঋণ দিয়ে থাকে ৷ এমন সময়ে এ সকল ভূক্তভোগী খেটে খাওয়া ঋণগ্রহীতা যখন তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন এর মধ্যে বিভিন্ন এনজিও কর্মীরা বাড়ি বাড়ি কিস্তি আদায়ের জন্য ধর্ণা দিচ্ছেন ৷ চাপ সৃষ্টি করে কিস্তি আদায় করা হচ্ছে ৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের সরকারি নির্দেশনা থাকলে ও এনজিও কর্মীরা ঋণগ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তির টাকা আদায় করছেন ৷ কোন কোন এনজিও কর্মী এক বাড়িতে টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসে পাড়ার সব নারী গ্রহীতাদের নিকট থেকে কিস্তি আদায় করছেন ৷ এ সময় নারী গ্রহীতাদের মাঝে মাস্ক ব্যবহার বা সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই থাকছেনা ৷

এনজিওর কিস্তি আদায় সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন , এ ব্যাপারে কোন নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারছিনা ৷ মুঠোফোনে এসিল্যান্ড নারায়ণ চন্দ্রপালের সঙ্গে এনজিওর কিস্তি আদায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার অধিদপ্তরের আওতাধীনে নয় , আপনি ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলেন ৷ অনুরূপভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পঃপঃ কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান রিজভি বলেন , লকডাউন কমিটির কর্মকর্তারা যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই আমার সিদ্ধান্ত ৷ অভয়নগর উপজেলার গরীব-অসহায় ভ্যান , রিকশা ,ইজিবাইক চালক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের চোখের পানিতে অঝরে বন্যা বয়ে যাচ্ছে ! কি হবে আমাদের ? আমরা এখন কিভাবে সংসার চালাবো ? এর সঠিক উত্তর কে দিবে ? একদিকে অন্ন যোগানো আর অপর দিকে কিস্তি চালানো এর উত্তর কোথায় খুঁজে পাবো আমরা ? সমাজের বিত্তশালী, বিবেকবানদের কাছে আমাদের এই বুকভরা কষ্টজনিক প্রশ্ন ৷

আরো সংবাদ