আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ১:১০

অম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ অভয়নগর-মণিরামপুরের ৯৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংস্কার হয়নি

মুনতাসির মামুন।। অভয়নগর-মণিরামপুর উপজেলায় আম্পান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারের অর্থনৈতিক সহযোগীতা না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত সংস্কার হয়নি। এই মূহুর্তে স্কুল খুলে দিলে শ্রেণী পাঠদান বাধাগ্রস্ত হবে বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ জানিয়েছেন।

 

২২ মে আম্পান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও একই অবস্থায় পড়ে আছে। দুই একটি প্রতিষ্ঠান তাদের ফান্ডের টাকা তুলে সংস্কার করেছে। ঝড়ের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও সরকারি সহযোগীতা পায়নি। কেবলমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসাগুলোকে আর্থিক সহযোগীতা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, আম্পান ঝড়ে অভয়নগরে ২৫টি ও মণিরামপুরে ৬৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এসব তথ্য ইতোপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোন ধরণের আর্থিক সহযোগীতা পাওয়া যায়নি।

 

মণিরামপুর উপজেলার হাটগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, “ঝড়ে আমার বিদ্যালয়ের অধিকাংশ টিনের চাল উড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকারি কোন সহযোগীতা না পাওয়ায় বিদ্যালয়ের সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। এই মুহুর্তে স্কুল খুলে দিলে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে দারুন ভোগান্তির শিকার হতে হবে। তাই স্কুল খোলার আগেই প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের বিশেষ প্রয়োজন।”

 

 

দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার ফিরোজ জানায়, “অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে আমার বিদ্যালয়ের টিনের চাল ঠিক করা সম্ভব হয়নি।”

 

হায়াতপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার কাওসার হোসেন বলেন, অর্থের অভাবে মাদ্রাসার ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।

 

অভয়নগর উপজেলার আল-হেলাল ইসলামী একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি অথবা সরকারি আর্থিক অনুদান পেলে, বিদ্যালয়ের সংস্কার করা সম্ভব হতো।

 

মহাকাল বিসিসি মোজাঃ মহিলা দাখিল মাদ্রাসা সুপার আঃ হক জানান, “মন্ত্রণালয় পুনঃরায় ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসাগুলোর তথ্য চেয়েছে। আশা করি এই তথ্য পাঠাতে পারলে সংস্কারের অর্থ পাওয়া যাবে।”

 

এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আম্পান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসা সংস্কারের জন্য সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়েছে। তথ্য পাঠালে আর্থিক অনুদান পাওয়া যাবে। কিন্তু স্কুল-কলেজ সংস্কারের ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

 

একই প্রসংগে মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ সরকার জানান, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠিয়েছি।”

 

কোন বিদ্যালয় অর্থ পেয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এসব অর্থ তো আমাদের কাছে দেয় না। এসব অর্থ নিয়ন্ত্রণ করে জেলা প্রকৌশল অফিস সেখানে আপনি খোজ নিতে পারেন। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত মাদ্রাসাগুলোর তালিকা চেয়েছে। ওই তালিকা আমরা আগামী রবিবার বা সোমবার পাঠাবো।”

আরো সংবাদ