রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী আনুশকা নুর আমিনের হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশপ্রধান এ কথা বলেন। ক্র্যাবের বার্ষিক সাধারণসভা শেষে ড. বেনজির আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমরা আনুশকার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তাও তদন্তে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত হতে ময়না তদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপরই নিশ্চিত হওয়া যাবে হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা।’ এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বেনজির আহমেদ বলেন, ‘কলম সৈনিকরা (সাংবাদিকরা) দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তারা জাতিকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেন লেখনীর মাধ্যমে। সাংবাদিক ও পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।’
আনুশকা হত্যা মামলার তদারকি কর্মকর্তা রাজধানীর রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান এই অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে মেয়েটির বন্ধু ইফতেখার ফারদিন দিহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; যার দ্বারা সে ধর্ষণের শিকার হতে পারে। তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তাও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পরে বলা যাবে। পুলিশ ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্ত করছে। সেক্ষেত্রে কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তবে এই ইস্যুকে সামনে এনে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করার চেষ্টা করেন, সেদিকেও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
ক্র্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিনিয়র সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল থেকে আনুশকা নুর আমিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর আনুশকার বন্ধু দিহানকে গ্রেপ্তারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। বন্ধুর ডাকে আনুশকা তার কলাবাগানের বাসায় যায়। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হতে পারে। এ সময় তার শরীর দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো।