আজ - বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১:৪২

আশাশুনিতে বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দুঃসাহসিক চুরি

আশাশুনিতে চেতনা নাশক দ্রব্য স্প্রে করে বাড়ির সদস্যদেরকে অজ্ঞান করে জানালার গ্রীল খুলে নগদ টাকাসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি সংঘটিত হয়েছে। শুক্রবার (৬ আগষ্ট) দিবাগত রাতে এ দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে।

উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী গ্রামের মৃত ছবির সরদারের ছেলে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মইন উদ্দিন সরদার (৬৮) শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে রাত্র ৯ টার দিকে পাকা দ্বিতলা বিল্ডিং এর নিচের বারান্দায় স্বস্ত্রীক ঘুমিয়ে পড়েন। তাদের ছেলে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আল মামুন দোতলায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতের কোন এক সময় সংঘবদ্ধ চোরেরা চেতনা নাশক দ্রব্য স্প্রে করলে বাড়ির মালিক মইন উদ্দিন ও তার স্ত্রী তহুরা খাতুন অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় চোরেরা ঘরের পিছনের জানালার গ্রীলের স্ক্রু খুলে ভিতরে ঢুকে স্টিলের আলমারীতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। শনিবার সকাল ৭ টার দিকে ছেলে আল মামুন ঘুম থেকে উঠে নিচে নেমে পিতা-মাতাকে অচেতন ও মালামাল ছড়ানো দেখে চুরির ঘটনা বুঝতে পারেন। আল মামুন বলেন, তিনি বাইরে দাওয়াত থাকায় বাড়িতে খায়নি। বাড়ি ফিরেই ঘুমাতে যায়। তার ধারনা বিষাক্ত দ্রব্য খাইয়ে বা স্প্রে করে পিতা-মাতা অচেতন হয়ে পড়লে চোরেরা গ্রীলের স্ক্রু খুলে ভিতরে ঢুকে স্ট্রিলের আলমারীতে দেড়-দু’ লক্ষ টাকা ও ৫/৬ ভরি ওজনের স্বর্ণের অলঙ্কার চুরি করে নিয়ে গেছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মইনদ্দি ও তার স্ত্রীর জ্ঞান ফিরেনি। তাদেরকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাই প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সিহাব হোসেন ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন। অসুস্থদের চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি একের পর এক অজ্ঞান করে চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আরো সংবাদ