আজ - বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - বিকাল ৩:৫৬

কেশবপুরে বিধবা নারীর সন্তান জন্মদান, পিতৃপরিচয় কি? -প্রশ্ন জনমনে!

‘কেশবপুরে বিধবা নারীর সন্তান জন্মদানের প্রকৃত ঘটনা ফাঁস’ শিরোনামে কপোতাক্ষ নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর ওই শিশুর পিতৃপরিচয় দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কেশবপুরের সর্বস্তরের মানুষ।নাগরিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, সংস্কৃতিকর্মীসহ জনপ্রতিনিধিরা এ ঘটনায় সোচ্চার হয়েছেন। 

এদিকে, নিজেকে বাঁচাতে বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী ও তার নবজাতক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই নারী কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আফসারের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করছিলেন। এ সুযোগে ওই এলাকার মৃত হুকুম আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। ছয় মাস আগে জানতে পারেন ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা। ইয়াকুব আলীর সন্তান তার গর্ভে। এরপর থেকে তিনি কাজ ছেড়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে থাকতেন।

গত ৩ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই নারী। তখন তিনি পাঁজিয়া গ্রামের নজরুল খাঁর বাড়ির অদূরে আমবাগানে তার সন্তান ডেলিভারি হয়। এরপর ওই নবজাতককে একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে নিয়ে যান। তাকে একা বাগানে যেতে দেখে সন্দেহ হয় পাশের এক নারীর। পরে সেই নারী ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান বাজার করা একটি ব্যাগের মধ্যে নবজাতক পুত্র সন্তান। নবজাতকটি জীবিত থাকায় সেই নারী এলাকাবাসী লোকজনকে খবর দেন। উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ওইদিনই নবজাতক ও তার মাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নাগরিক সমাজের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, ওই শিশুর পিতৃপরিচয়সহ নারীর খোরপোশ বহন করতে হবে।

পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল জানান, ওই নারীর পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে আবেদন করা হলে তার দাবি অনুযায়ী স্ত্রীর মর্যাদাসহ সন্তানের পিতৃপরিচয়ের সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দীন বলেন, মা ও শিশুকে কেশবপুর থেকে উদ্ধার করে যমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সুস্থ হয়ে কেশবপুরে আসার পর অভিযোগ দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত