গাজীপুরের এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। আজ শনিবার পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর নাম বিথী আক্তার ওরফে দিনা (২১)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর থানার ভেদুঘর এলাকার আমির হোসেনের মেয়ে। দিনার স্বামী ইয়াসিন সিকদার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার ভিন্নারিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
জিএমপি’র বাসন থানার এসআই মাসুম হোসেন খান ও স্থানীয়রা জানান, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে প্রায় ৬ মাস আগে বিথী গাজীপুরে এসে ইয়াসিন সিকদারকে বিয়ে করেন। ইয়াসিন সিকদার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার ভিন্নারিয়া গ্রামের জামাল সিকদারের ছেলে। বিয়ের পর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নলজানী এলাকার গ্রেটওয়াল সিটিতে বেলায়েতের বাসায় ভাড়া থাকেন ইয়াসিন। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে গত কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। শুক্রবার রাতে ইয়াসিন বাসায় ফিরে বিথীকে ঘরের বিছানার উপর অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এসময় তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। রাতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু পরদিন (শনিবার) সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বামী ও শাশুড়ি তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক বিথীকে মৃত ঘোষণা করলে তার লাশ হাসপাতালে ফেলে তার স্বামী ইয়াসিন ও শাশুড়ি বৃষ্টি বেগম পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিথী বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের মুখে ফেনা ও বিষের গন্ধ রয়েছে। তবে এ ঘটনা আত্মহত্যা না-কি হত্যা তা ময়না তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।