আজ - মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১১:৫০

চেয়ারম্যান হওয়ার আশায় চাকরিতে ইস্তফা, পেলেন না মনোনয়ন

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাসিন্দা আবু হানিফের। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় সরকারি চাকরি। তাই স্বপ্নপূরণের আশায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের চাকরি ছেড়ে দেন। 

বাঙ্গালা ইউপি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যথেষ্ট প্রস্তুতিও ছিল তার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি তিনি।

আবু হানিফ বাঙ্গালা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। একই সঙ্গে জড়িত ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে। এ বছর বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আবেদন করে হতাশ হয়েছেন।

উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন জানান, আবু হানিফ প্রথমে বাঙ্গালা ইউনিয়নের পশ্চিম সাতবাড়িয়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। পরে সেই বিদ্যালয় সরকারি হয়ে যায়। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য গত ৪ অক্টোবর শিক্ষা অফিসে এসে ইস্তফাপত্র জমা দেন হানিফ। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে খুব আশাবাদী ছিলেন তিনি।

শাহনেওয়াজ পারভীন আরও জানান, ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার দিন হানিফকে চাকরি ছেড়ে না দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সে অনুরোধ শোনেননি আবু হানিফ। বর্তমানে তার ইস্তফাপত্র শিক্ষা বিভাগ গ্রহণ করেছে। এমনকি হানিফ তার ভবিষ্যৎ তহবিল থেকে জমানো সমুদয় টাকাও নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য উঠিয়ে নিয়েছেন। এখন তার আর চাকরি নেই। তিনি সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধাও পাওয়ার যোগ্য হবেন না।

উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উল্লাপাড়ার বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে আবু হানিফের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ৪২ বছর ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। 

১৯৯৭ সাল থেকে কয়েক টার্ম হানিফ বাঙ্গালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার স্কুল সরকারি হওয়ার আগে তিনি দু’বার বাঙ্গালা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন। এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে খুব আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেলেন না। এটাই তার বড় দুঃখ। 

এখন তিনি তার এলাকার নেতাকর্মী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত