প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকায় সরকারের পক্ষে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশকে বিশ্বের সবাই সম্মান করে… দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকতে পারার কারণে সরকারের পক্ষে তা করা সম্ভব হয়েছে।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এ কথা বলেন। খবর ইউএনবির।
তিনি বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও গরীব রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন আর বাংলাদেশকে নিয়ে কেউ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে পারে না। কিভাবে একটি রাষ্ট্র উন্নয়ন করেছে, দারিদ্র্য হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে পারে সেজন্য বিশ্বজুড়ে উদাহরণ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এই ধারা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ সরকারের লক্ষ্যগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।’
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কারণে ২০২১ সালকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।’
গত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে জয়যুক্ত করে আওয়ামী লীগকে দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলব যেখানে কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। আমরা শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্যসেবাসহ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করব। আমরা চাকরির সুযোগ তৈরির মধ্যে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশেরই কিছু স্বনামধন্য মানুষ। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়, সামান্য একটা ব্যাংকের এমডি পদের লোভে এত বড় প্রকল্পে বাধা দেওয়া হয়েছিল।’
কারও নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, ‘এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। সরকার বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়, নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং এখন তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বিশেষ এক সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে যে এদেশ কারও ওপর নির্ভরশীল নয়। এ ভাবমূর্তির ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবং দেশের মর্যাদাকে আরও বাড়ানোর দিকে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের বিপুল জনশক্তি ও অন্যান্য সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।’