আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:২৬

পদ্মা সেতু বাঙ্গালীর গর্ব

খানজাহান আলী ডেস্ক:  স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে বাঙ্গালীর । একসময় সকল বাঙ্গালীর কাছে যা ছিলো স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন এবার বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে নতুন স্বপ্ন পূরণের যাত্রা । হাজারো বাঁধা বিপত্তিসহ অর্থ সংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তার দিন শেষে ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হবে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব অর্থে নির্মাণ স্বপ্নের এই পদ্মা সেতুর নাম । যা কোটি কোটি বাঙালির স্বপ্নের অবকাঠামো।

 

 

এই পদ্মা সেতু নির্মানের ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে যা বহুল প্রতীক্ষিত । যান চলাচলের জন্য প্রায় শতভাগ প্রস্তুত । এখন শুধু অপেক্ষা উদ্বোধনের। শতাংশের হিসাবে ৯৯ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এরই মধ্যে। কাজ চলমার আছে মুহূর্তে সেতুর ওপর মার্কিং সাইন, রং ও লাইটিংয়ের। একদিকে শ্রমিকরা ব্যস্ত সেতুর সকল কাজ শেষ করতে অন্যদিকে পদ্মার দুই পাড়েই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে “আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালির গর্বের এই সেতু উদ্বোধন করবেন”

 

এটি শুধু সেতুই নয়, এটি বাঙালি জাতির আবেগ, অনুভূতিও। কোনো এক দুঃস্বপ্নকে হাতের মুঠোয় এনে বিশ্ববাসীকে নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়ে দেওয়া। এই সেতুর ফলে দক্ষিণের অন্তত ২১টি জেলার বাসিন্দাদের চলাচলের অনেক বঞ্চনা ও যাতনার শেষ হতে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে দ্রুতগতিতে। জাতীয়ভাবে অন্তত ১ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি বাড়বে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের ফলে। ওপারের ২১ জেলার ক্ষেত্রে জিডিপি বাড়বে অন্তত ২ দশমিক ৩ শতাংশ। স্বপ্নের এই সেতু নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র, বিতর্ক, দুর্নীতির অভিযোগ সবকিছুকে মিথ্যা প্রমাণিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃপ্ত পদক্ষেপে অবাস্তবকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে বাঙালি জাতি। যা সত্যিই বিশ্বের অনেক দেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

 

অপেক্ষার দিন শেষ এবার বাংলার ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয় রুপ নিয়েছে বাস্তবতায়। সকল আলোচনা-সমালোচনা, ষড়যন্ত্র রুখে পদ্মার বুকে এখন দৃশ্যমান সেতুটি। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেতুটির পিলারগুলো। প্রতিটি পিলারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন। যে সেতু বাস্তবায়নে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পায়নসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। ভাগ্যে খুলবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির। সর্বশেষ শেষ বলা যায় এই পদ্মা সেতু এখন বাঙ্গালীর গর্ব ।

 

 

লেখক – মো: নয়ন হোসেন , গণমাধ্যমকর্মী ।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত