আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ১২:৩৬

বেড়িবাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরা উপকূল জনপদের অর্ধশত গ্রামে পানি, বিপর্যস্ত জনজীবন

মুনতাসির মামুন।।    প্রবল জোয়ারে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং নদীর উপচে পড়া পানিতে সাতক্ষীরা শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে আছে অর্ধশত গ্রাম। নদীর প্রবল জোয়ারের কারনে ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও ক্লোজারগুলো মেরামত করা সম্ভব না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে উপকূলবাসী। তাদের এখন একটাই দাবি ত্রাণ চাইনা চাই দীর্ঘ মেয়াদি টেকসই স্থায়ী বেঁড়িবাঁধ।
হঠাৎ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হিজলিয়া ক্লোজার ও খোলপেটুয়া নদীর হাজরাখালী এবং শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের লেবুবুনিয়া বাঁধ ভেঙে মুহূর্তের মধ্যে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয় গাবুরা, লেবুবুনিয়া ও আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা, হাজরাখালি, প্রতাপনগরসহ ৮থেকে ১০টি গ্রাম। বাঁধ মেরামত না হওয়ায় জোয়ারের পানিতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আশাশুনির সদর ইউনিয়নের কমলাপুর, তাশেরহাটি, দক্ষিণ-গাইয়াখালি ও ঠাকুরাবাদ। এছাড়া গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে আছে সাতক্ষীরা সদর,তালা,কলারোয়াসহ সাতক্ষীরা জেলার নিন্মাঞ্চল। এতে রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী জানান, আম্পানের পর থেকে শ্যামনগর ও আ্শাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া ও কপোতক্ষ নদের বাঁধ গুলো মেরামত না হওয়ায় গত তিন মাস ধরে প্রতাপনগরের ১৭টি গ্রাম ও শ্রীউলা ইউনিয়নের ২২টি গ্রাম সহ দুটি উপজেলার অর্ধশত গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি হয়ে আছে। পানিতে তলিয়ে আছে বসতবাড়ী ও ফষলি জমি। আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূল মানুষকে প্রতিনিয়ত নদীর জোয়ার-ভাটার সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে আছে। এই মুহূর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধগুলো সংস্কার করে টেকসই দীর্ঘ মেয়াদি স্থায়ী বাঁধ তৈরি না করতে পারলে এলাকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

আরো সংবাদ