আজ - বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - বিকাল ৫:৪৫

মেডিকেলের মেধা তালিকায় কেশবপুরের ৯ শিক্ষার্থী

সম্প্রতি ঘোষিত মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার একঝাঁক শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষক দম্পতির সন্তান। এ পর্যন্ত নয় জনের তথ্য পাওয়া গেছে। ভর্তির মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া নয় শিক্ষার্থী হলেন- ইফফাত আফরীন মিম, আব্দুল্লাহ আল শাহারিয়া হিমেল, ইফফাত জামান, মাহাদী হাসান, তামান্না ইসলাম, সুমনা রায়, পুজা দত্ত, শাহরিন সুলতানা লিজা ও তাজিয়া ইসলাম তৈশী।   

ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৩২তম স্থান পাওয়া ইফফাত আফরীন মিম কেশবপুর পৌরসভার সাবদিয়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও পাঁজিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল খালেকের মেয়ে। মিমের মা কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মেরিনা খাতুন। মিম ওই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কেশবপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।

আব্দুল্লাহ আল শাহারিয়া হিমেল হিজলডাঙ্গা শহীদ ফ্লাইট লেঃ মাসুদ মেমোরিয়াল কলেজের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের ছেলে। তার মা হোসনে আরা মঙ্গলকোট আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি মঙ্গলকোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কেশবপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। হিমেল ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।

ইফফাত জামান কেশবপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসাদুজ্জামান বাচ্চু ও বালিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা খাতুনের মেয়ে। ফুলতলা এমসিএসকে থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ ইফফাত খুলনা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।

মাহাদী হাসান মাগুরাডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার সহসুপার কামরুজ্জামান ও ত্রিমোহিনী ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা মাসুদা খাতুনের ছেলে। তিনি কেশবপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কেশবপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। মাহাদী ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।

তামান্না ইসলাম উপজেলার ইমাননগর গ্রামের বাসিন্দা যশোর সরকারী টিটি কলেজের অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি কেশবপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কেশবপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে খুলনা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।

উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও পাঁচারই টিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক মোহন কুমার রায়ের মেয়ে সুমনা রায় অত্র বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কেশবপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে টাংগাইল মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।

সাতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী গদাধর দত্তের মেয়ে পুজা দত্ত সাতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কেশবপুর হাজী আব্দুল মোতালেব মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে মাগুরা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন।

তাজিয়া ইসলাম তৈশী কেশবপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় ১৭৭তম স্থান পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তৈশী ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে কেশবপুর অফিস পাড়ায় মায়ের সাথে বসবাস করেন।

এ ছাড়াও চিনাটোলা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ডাঃ রেজাউল ইসলামের মেয়ে শাহরিন সুলতানা লিজা কেশবপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কেশবপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি ৫৪ নং ক্রমিকে অপেক্ষামান তালিকায় রয়েছেন। 

জানা গেছে, নয় জনের মধ্যে ইফফাত আফরীন মিম, আব্দুল্লাহ আল শাহারিয়া হিমেল, ইফফাত জামান, মাহাদী হাসান, সুমনা রায় ও শাহরিন সুলতানা লিজা কেশবপুরের আরেক মেধাবী সন্তান ডাক্তার হাদিউর রহমান সিয়ামের ডিএমসি স্কলারস ভর্তি কোচিংয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ডাক্তার হাদিউর রহমান সিয়াম ২০১২ সালে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ হয়েছিলেন। 

আরো সংবাদ