আজ - শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ৩:০১

যশোর অভয়নগরে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলীর বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ

অভয়নগর প্রতিনিধি ।। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন প্রকার দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার দায়ে সাময়িক বরখাস্তকৃত যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার ০৫নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মোল্যা।

উর্দ্ধতনদের ম্যানেজ করে স্বপদে বহাল হয়ে পাঁচ ইউপি সদস্যকে নিজের পক্ষে নিয়ে অবশিষ্ট সাতজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভয়নগরে অতি-দরিদ্রদের জন্য কর্ম সংস্থান কর্মসুচী (ই.জি.পি.পি) প্রকল্পের কাজে চরম অনিয়ম ও শ্রমিকদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন ও আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলে গত ২০ শে এপ্রিল (মঙ্গলবার) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অথচ চেয়ারম্যান নিজেই উক্ত দূর্নীতির সাথে জড়িত। নিজের অপকর্ম ঢাকতে ইউপি সদস্যদের নামে চেয়ারম্যান অভিযোগ করেছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন ঐ সাতজন ইউপি সদস্য। তারা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেছেন, সুনির্দিস্ট প্রমানের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছিলেন, বরখাস্ত চেয়ারম্যানকে স্বপদে বহাল করায় এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় আজ তারা চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়েছেন। উল্লেখ্য গত ১৪ জানুয়ারী উপজেলার ০৫নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের সকল ইউপি মেম্বররা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর উপর অনাস্থা এনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন এবং সংশ্লিস্ট কার্যালয়ে অনুলিপি প্রেরণ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পুড়াখালীর আমিনুর মোল্যার বাড়ি থেকে সাত্তার মোল্যার বাড়ি পর্যন্ত এবং পুড়াখালীর মিস্ত্রির বাড়ি থেকে বাওড় অভিমুখে ইটের রাস্তা সংস্কার বাবদ চার লক্ষ টাকার কোন কাজ না করে আত্মসাৎ, পুড়াখালী বুধোর বাড়ি থেকে ইউপি অভিমুখে আট ফুট ইটের রাস্তা সংস্কার বাবদ দুই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদের চত্বর থেকে আনুমানিক এক লক্ষ টাকার গাছ আত্মসাৎসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের গাছ কেটে বিক্রয়ের সম্পূর্ণ অর্থ আত্মসাৎ করায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক মামলা(সিআর-১২/২১) হয়।

তদন্ত পূর্বক অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। উল্লেখিত অভিযোগগুলি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা হলেও যশোর জেলা প্রশাসন ও অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ইউপি মেম্বররা শংকায় আছেন সুচতুর চেয়ারম্যান তাদেরকে কখন কোন ঝামেলায় ফেলে দেন।

দূর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় একটি দৈনিক আমার বিরুদ্ধে কোন সংবাদ ছাপানোর সাহস পায়না, আপনারা কত বড় সাংবাদিক? নিউজ করে আমার কি করবেন? চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে প্রমানিত দূর্নীতির অভিযোগের প্রতিবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

আরো সংবাদ