আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৯:৫১

লোহাগড়া পৌরসভায় প্রকৌশলীর মারধরে নির্বাহী কর্মকর্তা আঙ্গুল ভাঙ্গলো

নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তফিকুল আলমের উপর অফিস কক্ষে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে হাতের আঙ্গুল ভেঙে দিয়েছেন একই অফিসের সহকারী প্রকৌশলী শেখ স্যাইয়াদুল হক। এ ঘটনায় আহত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তফিকুল আলম বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বেলা সাড়ে বারটার দিকে লোহাগড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তফিকুল আলম পৌর অফিসে তার নিজ কক্ষে অফিসিয়াল কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে নির্বাহী কর্মকর্তা তফিকুল আলমের অফিস কক্ষে ঢোকে একই অফিসের সহকারী প্রকৌশলী শেখ স্যাইয়াদুল হক এবং নির্বাহী কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা তফিকুল আলম প্রতিবাদ করতে গেলে সহকারী প্রকৌশলী শেখ স্যাইয়াদুল হক নির্বাহী কর্মকর্তা তফিকুল আলমকে বেধড়ক কিলঘুষি মেরে গায়ের জামা ছিড়ে ফেলে এবং অফিসের স্টাপলার মেশিন দিয়ে আঘাত করলে তফিকুল আলমের হাতের আঙ্গুল ভেঙে যায়।

পৌর অফিসের নির্বাহী কর্মকর্তা আহত তফিকুল আলম বলেন,আমি আমার অফিস কক্ষে দাপ্তরিক কাজ করতে ছিলাম,কিন্তুু অফিসে লোক কম থাকায় সহকারী প্রকৌশলী অফিসে না থাকলে তার অফিস সহায়ক বাবুকে আরও অন্য এক জায়গায় কাজ করতে বলি। এ সময় সহকারী প্রকৌশলী স্যাইয়াদুল হক আমার রুমে ঢুকে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলে তুই আমার অফিস সহায়ককে অন্য জায়গায় কাজ করতে বলার কে। আমার অফিস সহায়ক আমার কাছেই থাকবে। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে সহকারী প্রকৌশলী স্যাইয়াদুল হক কিলঘুষি মারতে শুরু করে। আমি ঠেকাতে গেলে সে আমার টেবিলে থাকা স্টাপলার মেশিন দিয়ে আমাকে আঘাত করে রক্ত ও ফোলা জখম করে। এক পর্যায়ে আমার হাতের আঙ্গুল ভেঙে ফেলে। এ ঘটনার পর আমি মেয়র সাহেবের সাথে কথা বলে থানায় যেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী বলেন, আমি তার উপর কোন হামলা চালায়নি । তবে নির্বাহী কর্মকর্তা তফিকুল আলম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করেছে, তিনি আরও বলেন কাল অফিসে এসে দেখা করেন, কথা হবে।

এ বিষয়ে লোহাগড়া পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ুর রহমান বলেন, আমি অফিসে ছিলাম না,তবে ঘটনা শুনেছি।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন বলেন,আমি এজাহার এখনও হাতে পাইনি। তবে এজাহার হাতে পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত