আজ - বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - সকাল ৯:০৭

সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি, জামিন নামঞ্জুর কারাগারে ইউপি চেয়ারম্যান

 

পঞ্চগড়ে জেলা সদরের পরিবার-পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়োগে ঘুষ জালিয়াতির ঘটনার মামলায় আদালতে জামিন নিতে গিয়ে আটকা পড়লেন ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল। তিনি সদর উপজেলার ৮নং ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ।

রোববার দুপুরে পঞ্চগড় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি বিভিন্ন গনমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান।

গত ২৮ নভেম্বর ‘লিখিত পরীক্ষায় পাস, ভাইভায় ধরা পড়ে স্বামী-ভাইসহ জেলে তরুণী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয় ঢাকা পোস্টে। এরপর আটক হন মোছা. ইয়াসমিন (২১) ও মৌসুমী আক্তার (২৮)। এ ঘটনায় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া বাদী হয়ে সদর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই সময় চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও পলাতক থাকেন সাইফুল ইসলাম দুলাল।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আটোয়ারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের তেলীপাড়া এলাকার ইসলাম উদ্দীনের মেয়ে ইয়াসমিন ও একই ইউনিয়নের নলপুকুরী গ্রামের লতিফুর রহমানের মেয়ে মৌসুমী। অপর দুই আসামি ছিলেন ইয়াসমিনের স্বামী এ এইচ আর মাসুদ রয়েল (২৮) ও তার ভাই সাইদুর রহমান (২৪)। তারা জামিনে রয়েছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম দুলাল পলাতক ছিলেন।
জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার পর উত্তীর্ণদের ভাইভায় ডাকা হয়। লিখিত পরীক্ষায় ইয়াসমিন ও মৌসুমী উত্তীর্ণ হলে তারাও অংশ নেন ভাইভা পরীক্ষায়। কিন্তু ভাইভা দিতে এসে নিয়োগ বোর্ডে তাদের হাতের লেখায় কোনো মিল না পাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অন্যের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করেন। ইয়াসমিন জানান, তার ভাই সাইদুর ও স্বামী এইচ আর রয়েল তাকে লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করায়। আর চাকরির জন্য জেলার ধাক্কামারা এলাকার দুলালের সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় চুক্তি হয়।

ওই সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপঙ্কর রায় বলেন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয় তাদের মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়। ওই দুই পরীক্ষার্থী ভাইভা দিতে এলে ভাইভা বোর্ড তাদেরকে হাতে লিখতে বললে তারা লেখেন। কিন্তু পরীক্ষার খাতার সঙ্গে তাদের লেখার অমিল পাওয়া যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তারা।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত