আজ - শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - ভোর ৫:১৭

সাতক্ষীরায় যৌতুকের জন্য আগুন দিয়ে শিশুকে হত্যা

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বহুল আলোচিত নানী -নাতির হত্যার চেষ্টায় অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় নাজমুল ইসলাম (৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে ২টার সময় ঢাকা গুলিস্থান শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের বেডে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় নাজমুল মৃত্যুর কাছে হেরে যেয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শনিবার (২ অক্টোবর) রাত ২টার সময় উপজেলার নলতা ইউনিয়নের কাজলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নাজমুলের লাশ ঢাকা শাহবাগ থানার মাধ্যমে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, যৌতুকের দাবি মিটাতে না পারা এবং তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিশোধ নিতে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় নানি ফাতেমা বেগম (৫২) ও নাতি নাজমুলকে বাইরে থেকে আটকে ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে আরেক মেয়ের প্রাক্তন স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা।

এসময় এলাকাবাসী দ্রুত এসে অগ্নিদগ্ধ ফাতেমা ও নাজমুলকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রেফার করেন। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতে তাদেরকে ঢাকা গুলিস্তান শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট এন্ড হাসপাতাল ভর্তি করে। সেখানে তিনদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আনুমানিক ১টা ৪০ মিনিটে নাজমুল মারা যায়।

এঘটনায় রবিবার (৩ অক্টোবর) কাজলা গ্রামের মৃত জব্বার আলী সরদার ছেলে আব্দুস সাত্তার সরদার বাদী হয়ে ভাঙ্গানমারি গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে সবুজ গাতিদার (৩৫), সুমন গতিদার (২৫), মৃত শুক্র গাতিদারের ছেলে নোয়াব আলী গাতিদার (৬০) ও তার স্ত্রী মর্জিনা খাতুনকে (৫৫) আসামি করে থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করে। মামলার প্রধান আসামি সবুজকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি এখন হত্যা মামলায় পরিণত হয়েছে। একজন আসামিকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

আরো সংবাদ