নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার গুলটিয়া গ্রামের কুবাদ মোল্লার মেয়ে আফসানা (১৮) আত্মহত্যা করেনি। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল। আফসানার স্বামী উপজেলার বেদী গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে বাহারুল (২৪) যশোর পিবিআইয়ের হাতে আটক হওয়ার পর আফসানার মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হয়। রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার আন্দোলবাড়িয়া গ্রামে তার আত্মীয়র বাড়ি থেকে আটক করা হয় বাহারুলকে।
পিবিআই জানিয়েছে, আফসানার সাথে বাহারুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরে পারিবারিকভাবে গত ২২ আগস্ট তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র দুই সপ্তাহ পর গত ৫ সেপ্টেম্বর আফসানা আত্মহত্যা করে বলে প্রচার করা হয়। এরপর এই ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে পিবিআই যশোর। তদন্তে এই ঘটনার সাথে তার স্বামীর সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। পরে রোববার ভোররাতে কুবাদ আলীকে আটক করার পর সে স্বীকার করে আফসানাকে ঘরের মধ্যে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। কিন্তু আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়। ফলে এই মামলায় বাহারুলকে আটক দেখানো হয়েছে।