উত্তর চব্বিশ পরগনার বাদুড়িয়ার কাছে নারকেলবেড়িয়া গ্রামটি তিতুমীরের গ্রাম বলেই বেশি পরিচিত। এই গ্রামের যুবক মির আল নিশার তিতুমীর ইংরেজের বিরুদ্ধে বারাসাত বিদ্রোহের সূত্রপাত করেছিলেন। তিতুমীরের এই গ্রাম ফের শিরোনামে এলো। বাংলাদেশে যখন সাম্প্রদায়িক সংঘাতের ঘটনা ঘটছে তখন তিতুমীরের গ্রামের মুসলমান যুবকরা একটি নজির গড়লেন। এক সহায় সম্বলহীন বিধবার পুত্রের মরদেহ কাঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁরা সৎকার করলেন। হিন্দু যুবকের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে তাঁরা হরিবল ধ্বনি দিতে দিতে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে সৎকার করলেন। বছর চব্বিশের হিমন মন্ডলের মৃত্যু হয় কদিন আগে প্রবল বর্ষণের রাতে। সহায়হীন বিধবা করুনা মন্ডলের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে- কি হবে, কে করবে হিমনের সৎকার।
হঠাৎই যেন দেবদূতের মতো আবির্ভূত হলো কয়েকজন মুসলিম যুবক। মাসি মা, আপনি কিছু ভাববেন না। আমরা জোগাড় যন্ত্র করে ফেলছি। ভোরের আলো ফুটতে আরও চল্লিশ পঞ্চাশ জন মুসলমান যুবক চলে আসে। হিমনের জামাই বাবুর কাছে হিন্দু সৎকার বিধি জেনে নিয়েই হিমনকে দাহ করা হয় হিন্দু রীতিতেই। সম্প্রীতির এর থেকে ভালো উদাহরণ আর কি হতে পারে?