ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রবিউল ইসলাম (৪৭) নামে এক ইজিবাইক চালককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত রবিউল ইসলাম জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার বিকেলে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। রাত ১০ টার দিকে সে মারা যায়। এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাতে হরিণাকুণ্ডু পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি পলাশ আহমেদসহ ৫টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে নিহতের ভাগ্নে রাসেলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করা হয়। শনিবার সকালে আরো বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর দোকান পাটে হামলা করে ভাঙচুর লুটপাট করা হয়েছে। এদিকে ভাঙচুর, লুটপাট বন্ধ ও আবারো সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন ও খবির হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত মাসের ২৫ তারিখে জামালের চাচাতো ভাই জীবনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে খবিরের লোকজন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। আসামিরা জামিনে বের হয়ে এলে গত দু’দিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা চলে আসছিলো। আগের মারধরের জের ধরে শুক্রবার বিকেলে আসরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রবিউল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে খবিরের সমর্থকরা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে পদ্মা সেতু পার হলে রাত ১০ টার দিকে রবিউল মারা যায়।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, রবিউলের উপরে হামলা করেছে দুবৃর্ত্তরা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
হত্যার পর এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। লুটপাটের ঘটনা আমি জানিনা। তবে রাতে পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি পলাশের বাড়িতে আগুন দিয়েছে। সকালে কয়েকটা বাড়ি দোকান পাট ভাঙচুর করা হয়েছে। এখনো এজাহার দেয়নি। কোনো আটক নেই।