আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৬:৪৯

মনোনয়ন প্রত্যাশি বিএনপি নেতা ঢাকায় অপহরণ || ১লাখ ৭০ হাজার টাকায়’ও মুক্তি মেলেনি

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি।। যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪র্থ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু বকর আবু ঢাকায় অপহৃত হয়েছেন। রোববার রাত ৮টার পর রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। দুই দফায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপন দিয়েও জনপ্রিয় এই নেতার মুক্তি মেলেনি। এ ঘটনায় তার অনুসারী নেতাকর্মীরা উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছেন।

তার পারিবারিক ও ঢাকায় অবস্থানরত বিএনপি নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের জন্য আবু বকর আবু গত ১২ নভেম্বর ঢাকায় যান। পল্টন এলাকার মেট্রোপলিটন হোটেলের ৪র্থ তলায় ৪১৩ নং রুমে থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনে এবং জমা দিয়ে সোমবার সাক্ষাৎকার বোর্ডে অংশ নেওয়ার জন্য ওই হোটেলেই অবস্থান করছিলেন। রোববার রাত ৮টার দিকে তার সঙ্গী মজিদপুর ইউপি মেম্বার সাইফুল ইসলাম ওষুধ কিনে ফিরে এসে তাকে আর রুমে পায়নি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে কেশবপুরে অবস্থানরত তার এক ভাগ্নের মোবাইলে কয়েকবার মিসকল আসে। প্রত্যেকবার ব্যাক করলে শুধু হ্যালো হ্যালো ছাড়া কোন কথা হয়নি। এরপর ০৯৬৩৮৮৮৮২০২ নম্বর থেকে ওই ভাগ্নের কাছে ফোন দিয়ে তার মামার জন্য দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ জন্য ওই রাতে কয়েকটি বিকাশ নম্বরও সরবরাহ করেন তারা। কিন্তু রাত ১২টার পর বিকাশের ট্রানজিট বন্ধ থাকায় মঙ্গলবার সকালে অপহরণকারীরা ০১৭৪৮১১০৫৭৭ নম্বর মোবাইল থেকে যোগাযোগ করায় দেড় লাখ টাকা বিকাশ করা হয়। এরপর সকাল ৯টার দিকে অপহরণকারীরা দেড় লাখ টাকার প্রাপ্তি স্বীকার করে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। বহু অনুরোধের পর অপহরণকারীরা ২০ হাজার টাকা বিকাশ করার জন্য ২টি নম্বর সরবরাহ করে বলেন ওই টাকা পাওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে আবু বকর আবুকে ওই হোটেলের সামনে ছেড়ে আসা হবে। সাড়ে ১০টার দিকে ২০ হাজার টাকা বিকাশ করার পরও তাকে ছাড়া হয়নি এবং তারা আর মোবাইল রিসিভ করেনি। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অপহরণকারীদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ খবর লেখা পর্যন্ত আবু বকর আবুর কোন হদিস পাওয়া যায়নি।

৭০ বছর বয়সী আবু বকর আবুর ছোট বোন আঞ্জুমানারা বলেন, আমার ভাই কেশবপুরের বিএনপি নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে ছিল। সোমবার বিএনপির সাক্ষাৎকার বোর্ডে হাজির হতে না দেওয়ার জন্য তার প্রতিদ্বন্ধীদের কেউ তাকে অপহরণ করিয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত