ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নূরুল হককে ঘিরে আয়োজিত একটি ইফতার মাহফিল হতে পারেনি। জামায়াত-শিবিরকে কোনো অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। পুলিশি প্রহরায় ভিপি নূর অনুষ্ঠানস্থলে গেলেও রেস্টুরেন্ট তালা দিয়ে দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মসজিদ রোডস্থ একটি রেস্টুরেন্টে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা। এতে প্রধান অতিথি করা হয় ডাকসুর ভিপি নূরুল হককে।আয়োজকরা জানান, রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে বিল পরিশোধ করে ইফতারের আয়োজন সম্পন্ন করার পর বিকেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ইফতার অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি ভিপি নূর ও তার সহযোগীদের প্রতিহত করারও ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।এরআগে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভিপি নূর ঢাকা থেকে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু তাকে ঘিরে শহরে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে রাখা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ তালশহর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ভিপি নূরকে নিয়ে আসেন। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে রেলওয়ে স্টেশনে নেমে কড়া পুলিশি প্রহরায় মসজিদ রোডে গ্র্যান্ড এ মালেক রেস্টুরেন্টে যান নূর। কিন্তু রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় তিনি আয়োজকদের নিয়ে রেস্টুরেন্টের সামনে অবস্থান নেন।এ সময় ভিপি নূরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কেনো এমন উগ্র আচরণ করছে এটি আমাদের বোধগম্য নয়। বিষয়টি আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েছি। যদি আমাদের সঙ্গে জামায়ত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা থাকতো তাহলে তো প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাওয়াত দিয়ে গণভবনে নিয়ে যেতেন না। আমরা আশা করি যারা ছাত্রলীগের দায়িত্বে আছেন তারা তাদের উগ্র এবং অতিউৎসাহী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।এসময় নিজের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ভিপি নূর সরকারবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। তাদের সাথে ছাত্র অধিকারের ব্যানারে শিবিরের ছেলেরা আসছে। এজন্য সাধারণ ছাত্ররা অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি হয়নি।