সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে দুই মৎস্যজীবীর মরদেহের সন্ধান এখনো মেলেনি। তবে জীবিত থাকা অপর মৎস্যজীবী বাড়িতে ফিরেছেন। গতকাল বেলা ১২টার দিকে সীমান্তের মাওন্দি নদী পার হয়ে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন এলাকা দিয়ে বাড়িতে ফেরেন ওই মৎস্যজীবী।
এ মৎস্যজীবী হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে আবু মুসা (৪১)। বাঘে খাওয়া অপর দুই মৎস্যজীবী হলেন, পশ্চিম কৈখালী গ্রামের কফিলউদ্দিনের ছেলে রতন (৪২) ও মনো মিস্ত্রীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪০)। কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহিম জানান, বেলা ১২টার দিকে সীমান্তের মাওন্দি নদী দিয়ে মৎস্যজীবী আবু মুসাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন এলাকাবাসী। কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন এলাকার পাশ দিয়ে মাওন্দি দিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা লতিফ, আরিজুল, আরশ খানসহ ৪-৫জন তাদের একটি নৌকায় তাকে এলাকায় নিয়ে আসে।বাঘের আক্রমণে নিহত অপর দুই মৎস্যজীবী রতন ও মিজানুর রহমানের মরদেহের কোনো হদিস এখনো মেলেনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই মৎস্যজীবীর ওপর বাঘ আক্রমণ করে। নৌকায় করে প্রাণে রক্ষা পান আবু মুসা। পরবর্তীতে আবু মুসা কৈখালী সীমান্তের বিপরীতে ভারতের মধ্যে পুল্লাদ নামের এক ভারতীর কাছে আশ্রিত ছিলেন দুদিন।
কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন, বিজিবির সিও’র মাধ্যমে বিএসএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনেক যোগাযোগ করেছিলাম। তবে বাঘের আক্রমণে নিহত দুই মৎস্যজীবীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনা তিন দিন গড়িয়েছে আর সম্ভবনা নেই এমনই মনে হচ্ছে। জীবিত থাকা আবু মুসা ভারতীয় যে বাসিন্দার কাছে ছিলেন তিনি নৌকায় করে আমাদের দেশের মধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছেন।