যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বাড়ীতে গৃহ চুরি বন্ধ ও চোর আটকের জন্য মাঠে নামে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম। গত ২৮শে মার্চ যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া মিসেস রোজী জালাল এর বাসার এ্যাডযাষ্টিং ফ্যান খুলে বাসায় প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা চোর ১৭ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করার মামলার তদন্ত পান। জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম’র নেতৃত্বে এসআই শামীম হোসেন, এসআই আব্দুল্লাহ আল-মামুনদের সমন্বয়ে একটি টিম তদন্তে নেমে পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার আরেকটি বাসায় চুরির ঘটনায় সিসি টিভি ফোটেজ পর্যালোচনা করে চোরকে সনাক্ত করে ৩০ শে মার্চ যশোর রায়পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরাই স্বর্ণালংকারসহ হাতে নাতে সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া চোরকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তি মতে টালিখোলা আরেকটি বাসার চোরাই মোট ১ ভরি ৮ আনা স্বর্ণালংকারসহ , বিভিন্ন চোরাই মালামাল, চুরি কাজে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করে যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। চোরদের চোরায়কৃত ২টি পেনড্রাইভ পেয়ে যাচায়ান্তে দেখা যায় উক্ত পেনড্রাইভ উপশহর এলাকার একটি বাসায় ২০১৮ সালের চুরির ঘটনার আলামত। চোরের দেখানো মতে ৪টি বাসা সনাক্ত করে চুরির ঘটনা তদন্ত করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী একজন কুখ্যাত সিঁধেল চোর। সে দীর্ঘদিন যাবৎ যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে গৃহের এ্যাডযাষ্ট ফ্যান খুলে গৃহে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার, মুল্যবান জীনিসপত্র, নগদ টাকা চুরি করে মর্মে তথ্য প্রমান পাওয়া যায়। আসামী দীর্ঘদিনের চুরি করা অর্থ দিয়ে জমিক্রয়, বাড়ী নির্মান করেছে তথ্য প্রমান পাই ডিবি পুলিশ।