আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:৪১

ছেলে সেজে প্রেম, পুলিশের হাতে প্রতারক আটক

স্মৃতি আক্তার (১৫) মুখের কথা, চুলের স্টাইল, পোশাক আশাক সবই ছেলেদের মতো। নিজের নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন রায়হান। প্রেম করেছেন মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার মাকহাটি মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রী ঋতুর (১৬) সঙ্গে। কথিত প্রেমিক ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভোন দেখিয়ে সহযোগীদের নিয়ে ঋতুকে অপহরণ করে নিয়ে তুলে দেন স্মৃতির মা মুক্তা বেগমের হাতে।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মাকুহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ জেলার সদর উপজেলার জোর পুকুরপাড় পূর্ব পাড়া কাজলের বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।

উদ্ধার শিক্ষার্থী জানান, আমার সাথে প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে মুক্তা বেগমের মেয়ে স্মৃতি (১৫)। ছেলে সেজে প্রেম করে আসছিল। তার মা মুক্তা,বাবা রবিউল তাকে সহযোগিতা করতো। ২১ জুলাই বুধবার ঈদের দিন সকাল সাড়ে ১১ টায় আমাকে স্মৃতি নিজেকে রায়হান পরিচয়ে তার মা, বাবা ও সৎ মা কে সঙ্গে নিয়ে অটো রিকশায় করে গোপনে তাদের আস্তানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আমি বুঝতে পারি আমার প্রেমিক রায়হান আসলে ছেলে নয় মেয়ে। তারা আমাকে ৩ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করে খারাপ কাজ করার কথা বলে। আমি রাজি না হওয়াতে তারা আমাকে অন্যত্র পাঠিয়ে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।

মামলার তদন্ত কর্মকতা এসআই আল মামুন জানান, স্মুতি, মুক্তা, রবিউল, হিজরা শাকিলা সংঘবদ্ধ নারী ও শিশু পাচারকারী চক্র। তারা কৌশলে উঠতি বয়সি মেয়েদের অপহরন করে অশ্লীল কাজ করানোসহ বিভিন্ন স্থানে পাচারের সহিত জড়িত মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে।

টঙ্গীবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িতরা একটি মানবপাচার চক্র। মোট ৪ জনকে আটক করে মুন্সিগঞ্জ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আজ রবিবার (২৫ জুলাই) রবিউল ও হিজড়া শাকিলাকে ৭ দিনের করে পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। পরে রিমান্ড শুনানি হবে। এর আগে ২৪ জুলাই শনিবার স্মৃতি ও মুক্তাকে আদালতে পাঠানো হলে তারা দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি প্রদান করেছেন।

সে আরো জানায়, স্মৃতি মেয়েটি খুবই স্মাটলি ছেলেদের মত কথা বলে। পোশাক, হেয়ার স্টাইল ছেলেদের মত। কৌশলে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে তুলে নিয়ে তার মা মুক্তার হাতে তুলে দেয়। শিক্ষার্থীকে স্মৃতির মা মুক্ততার স্বামী রবিউলের হাতে তুলে দেয় আর রবিউল তার আরেক স্ত্রী হিজরা শাকিলার মাধ্যমে পাচারের সময় স্মৃতি ও মুক্তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরন ও পাচারের ঘটনা স্বীকার করলে তাদের দু’জনের দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে পরবর্তীতে অপর দুজনকে আটক করা হয়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত