আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ২:২৮

নিরাপত্তাহীনতায় নিহত রাসেলের পরিবার! ছেলে হারানোর পর বাড়ি ছেড়েও জীবন শংশয়।

খান জাহান আলী 24/7 নিউজ: আরবপুরে চাঞ্চল্যকর রাসেল হত্যার ৮ মাস পরেও আসামীদের দাপটে ঘরছাড়া নিহত রাসেলের পুরো পরিবার। সম্প্রতি মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়েছে রাসেল হত্যা মামলার আসামী এমে যেকোন সময় নিহত রাসেলের পিতা সালেহ মৃধা সহ পুরো পরিবারকে রাসেলের মতই পরপারে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে সে সহ তার অধিনস্থ একদল সন্ত্রাসী। এসব উল্লেখ করেই যশোর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।

যশোর জেলাধীন কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর এবং নিহত রাসেলের পিতা আবু ছালেক স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগ পত্রে বলা হয়, বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মিয়ারাজ মোড়লের পূত্র আসামি ইদাদুল হক এমে তার সহযোগীদের সহায়তায় গতবছরের ১৫ ই এপ্রিল রাত আনুমানিক ৯:৪০ ঘটিকায় ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। পরে ১৬ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে খুনি এমে সহ ২৪ জনকে আসামি করে দায়ের কৃত মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। মামলা নং -৩১, ধারা ১৪৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩৬০/৩০২/৫০৬/১১৪/১৪ পেলাল কোড।

অভিযোগে বলা হয়েছে উল্লেখিত আসামিসহ তার সহযোগীরা নিহত রাসেলের পিতা আবু সালেহ সহ তার পরিবারের সদস্যদেরকে মামলা তুলে নেয়া এবং আজ পযর্ন্ত সংশিষ্ট মামলাতে খরচ হওয়া টাকা চাঁদা চেয়েছে এমে।

এজন্য নিত্যদিন বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে খুনি চক্রটি। মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায় আসামী প্রয়সয়ই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারপিট খুন জখম সহ বাড়ি ছেড়ে দিতে হুমকি দেয়।

গত ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে সন্ধ্যায় নিহত রাসেলের পিতা সালেহ নিজ বাড়ির পাশে চায়ের দোকানে অবস্থান কালে তার ফোন নং ০১৯১৮৫৯৮৩৭৮ এ  এমে’র ফোন নম্বর ০১৭৫৮৫৬৮৪৬৭ থেকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, হত্যার হুমকি সহ মামলা চালানোর খরচ বাবদ ১ লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবি করে বিবাদী।

গত ইং ১৫/০৪/২০২০ তারিখে  ভেকুটিয়া গ্রামের আবু সালেক মৃধার ছেলে মোঃ সাব্বির আহম্মেদ রাসেল কে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এসময় নিহত রাসেলের ভাই মোঃ আল আমিন মারাত্মক ভাবে আহত হয়। শহিদ মেম্বারের নির্দেশে পূর্ব শত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে করা হয় বলে স্থানীয়দের দাবী। মামলাটি পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম এর নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখা, যশোর তদন্তভার গ্রহন করে।পরে যশোর জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম এর নির্দেশক্রমে জনাব মারুফ আহম্মেদ, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, যশোর এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ মাসুম কাজী সহ অন্যান্য অফিসার ফোর্স তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান সনাক্ত করে ইং-১০/০৭/২০২০ তারিখ রাত্র অনুমান ০০:৪০ ঘটিকার সময় নড়াইল সদর থানাধীন মীর্জাপুর এলাকা হইতে আসামী এনামুলকে গ্রেফতার করে। এনামুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বালিয়া ভেকুটিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মফিজুরকে গ্রেফতার করে তাদের উভয়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসামী মফিজুরের বাড়ী থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লোহার তৈরি ধারাল গাছি দাঁ উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

হত্যা মামলার প্রধান আসামি আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ও যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক শহিদুজ্জামান শহীদ সহ নয়জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে।

রাসেল নিহত হবার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন খুনের প্রধান আসামী শহিদ সহ তার গং এর সবাই! আত্মসমর্পণ পরবর্তী এলাকায় ফিরে আবার নবাবী হালে প্রায় মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট বহর নিয়ে শোডাউন দিয়ে বেড়াচ্ছে এই শহীদ মেম্বার।
একটা নিরিহ ছেলেকে বর্বরভাবে হত্যার পরও এলাকায় এভাবে দেখে এবং তার উন্মুক্ত চলাফেরায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকলেই ভয়ে ভয়ে জীবনযাপন করতে শুরু করেছে।

আরো সংবাদ