আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - ভোর ৫:৩৭

পরীমনির বাসায় মাদকের ছড়াছড়ি, আয়ের উৎস ব্ল্যাকমেলিং

২০১৪ সালে চলচ্চিত্রে পদার্পনের পর জীবনযাত্রা পাল্টে যেতে থাকে পিরোজপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শামসুর নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি যার বর্তমান নাম পরীমনির। ২০১৬ সাল থেকে নিয়মতি অ্যালকোহল সেবনে আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি।

মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের চাহিদা থেকেই বাসায় মিনিবার গড়ে তোলেন পরীমনি। তবে, নিজেরর চাহিদাই নয়, তার মিনিবারে প্রায় বিভিন্ন পার্টির আয়োজন চলতো।

পরীমনিকে প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ নিয়মতি মদসহ বিভিন্ন মাদক সরবরাহ করতেন। আর রাজের নেতৃত্বে শুধু পরীমনির বাসাতেই নয়, রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় পার্টির আয়োজন হতো। এসব পার্টিতে বিত্তবানদের ডেকে নিয়ে ব্ল্যাকমেলিংয়ের মাধ্যমে চলতো তাদের অর্থ উপার্জন।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে র‌্যাব সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, তার নাম শামসুর নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমনি।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তিনি ২০১৪ সালে সিনেমা জগতে আসেন। এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও ৫/৭টি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। তাকে পিরোজপুর থেকে ঢাকার সিনেমা জগতে আনেন আটক হওয়া প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ।

জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানান, ২০১৬ সাল থেকে তিনি নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করেন। মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে তিনি বাসায় একটি মিনিবার করেছেন। মিনিবার থাকায় তার বাসায় পার্টির আয়োজন করা হতো। সেই পার্টিতে বিভিন্ন ধরনের মাদক সরবরাহ করতেন রাজ।

বুধবার (৪ আগস্ট) দিনগত রাত সোয়া আটটার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযানের প্রথম দিকে পরীমনি র‌্যাবকে কোনো সহযোগিতা করেননি। তবে, পরে তার ঘর তল্লাশি করে ফ্ল্যাটের কেবিনেট থেকে বিদেশি মদ, লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড (এলএসডি) এবং আইস উদ্ধার করা হয়। পরে তার ড্রয়িং রুমের কাভার্ড, শো-কেস, ডাইনিং রুম, বেডরুমের সাইড টেবিল এবং বাথরুম থেকে বিপুল সংখ্যক মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযানে অংশ নেয়া র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, পরীমনির ড্রয়িং রুম, ডাইনিং রুম, বেডরুম এমনকি বাথরুম থেকেও বিদেশি মদ উদ্ধার করা কয়েছে। সারা বাসাজুড়ে থরে থরে মদের বোতল রাখা ছিলো। তার বাসায় এমন কোনো জায়গা নেই যে যেখানে মদ নেই। তার কাছে দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের মদ ছিল, যা বাংলাদেশে খুব কমই আমদানি হয়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত