আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৯:৩০

মাদরাসায় শিশু নির্যাতনের আরো একটি নির্মম ভিডিও ভাইরাল!

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ‘আল মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি’ নামের হাফেজি মাদরাসার আট বছরের এক আবাসিক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্দয়ভাবে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। আভিযুক্ত শিক্ষককে আটকও করা হয়েছে। এরই মধ্যে হাফেজিয়া মাদরাসায় শিক্ষার্থীর নির্যাতনের আরো একটি নির্মম ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দুই শিশু শিক্ষার্থীকে রশি দিয়ে বেঁধে মাদরাসার মেঝেতে ফেলে নির্মমভাবে প্রহার করেই চলেছেন। হুজুর এমন হিংস্র আক্রোশে শিশু দুটিকে পেটাচ্ছেন, যেটা দেখে যে কেউ আঁতকে উঠবে। চোর ডাকাতকেও মানুষ এভাবে পেটায় না। শুধু বেত দিয়ে পিটিয়েই হুজুর ক্ষ্যান্ত হননি; পেটাতে পেটাতে ক্লান্ত হওয়ার পর নতুন আক্রোশে শিশু দুটিকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে একের পর এক লাথি মারতেও দেখা গেছে। হুজুরের এমন রুদ্রমূর্তি দেখে অন্য শিশুরা ভয়ে-আতঙ্কে দূরে সরে যাচ্ছে।

অমানবিক পিটুনিতে রক্তাক্ত জখম হয় শিশু দুটি। একপর্যায় তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা আহত শিক্ষার্থীদের মারতে নিষেধ করলেও ওই শিক্ষক বিরামহীনভাবে শিশুদের ওপর নির্যাতন চালায়।

মনিরুল ইসলাম শিপন নামের একজন ব্যক্তি কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেজে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। ভিডিওটিতে ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছে- হিংস্র,নির্মম, অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার মধুপুর এলাকায় জাবালে নুর মাদরাসার। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হাফেজ ইব্রাহীম।

তবে ভিডিওটি এখন ভাইরাল হলেও ঘটনাটি গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের বলে জানা গেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুরান ঘটনা হলেও চট্টগ্রামে শিশু নির্যাতনের প্রেক্ষাপটে নতুন ভেবে অনেকেই শেয়ার করছেন।

উল্লেখ্য, হাটহাজারীর পৌর এলাকার মারকাজুল কোরান ইসলামি একাডেমি মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী শিশু ইয়াসিন। সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে মা পারভিন আক্তার ও বাবা মোহাম্মদ জয়নাল মাদরাসায় তাদের সন্তানকে দেখতে যান। কিন্তু ফেরার সময় ছোট্ট শিশুটি মা-বাবার সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরে। এক পর্যায়ে সে মা-বাবার পিছু পিছু মাদরাসার মূল ফটকের বাইরে চলে আসে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মাদরাসার হুজুর ইয়াহিয়া। মা-বাবার সঙ্গে মূল ফটকের বাইরে কেন গিয়েছে শুধু এই কারণেই শিশুটিকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান তিনি। শিক্ষার্থীদের কেউ একজন ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করলে, এই নির্মম নির্যাতনে প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেন নেটিজেনরা।

আরো সংবাদ