৭ মার্চ আব্দুল্লাহ আল-মামুনের একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চালক মনির হোসেন ভাড়ায় চালাতে নিয়ে তার সহযোগীদের সহযোগীতায় আত্মসাৎ করে। আব্দুল্লাহ আল-মামুন বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন। এছাড়াও যশোর শহর ও আশপাশ এলাকা হইতে একাধিক ইজিবাইক চুরি/ছিনতাইয়ের অভিযোগ থাকায়।

এই সংক্রান্তে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম তদন্তে নামে এবং এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি টিম কোতয়ালী মডেল থানাধীন মুড়লী মোড় এলাকায় ১০ই মার্চ রাত ৮ টার সময় অভিযান পরিচালনা করে একটি চোরাই ইজিবাইক খোলার সময় হাতে নাতে চোর চক্রের ২জনকে গ্রেফতার করেন। পরে তাদের তথ্য মোতাবেক রাজারহাট রেলগেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চক্রের আরো ২ সদস্যকে ১টি চোরাই ইজিবাইক ও আসামীদের ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকারসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করেন। চোরাই উদ্ধার ইজিবাইক সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম বাদী হয়ে পৃথক মামলা কোতয়ালী মডেল থানার মামলা দায়ের করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ও পলাতক সহযোগীরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ইজিবাইক চুরি/ছিনতাই চক্রের সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজসে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেকার যোগে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে গমন করে চক্রের সদস্যের মধ্যে কয়েকজন ইজিবাইক ভাড়া করে পথিমধ্যে কৌশলে চুরি/ছিনতাই করে থাকে মর্মে তথ্য দেয় চোর চক্র। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন ১। মনির হোসেন (৩৫), পিতা- মৃত আলী মোল্লা, মাতা-রাহাতন বেগম, সাং-কাজীপুর ক্লাব মোড়, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর ২। মোঃ জনি হোসেন (২৪), পিতা-মুন্না খান, মাতা-মৃত রাশিদা বেগম, সাং-তুলা গোলদারপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্প, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর ৩। রিজাউল গাজী (৪৫), পিতা-মৃত সাত্তার গাজী, মাতা-রিজিয়া খাতুন, সাং-তুলা গোলদারপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর ৪। মোঃ শাহ পরান @ পাখি (২৫), পিতা-মৃত গহর আলী, মাতা- বাহারুন নেছা, সাং-মুড়লী খাঁ পাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর।