মুনতাসির মামুন।। চেক ডিজঅনার মামলা হয়েছে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম গত ২৩ জুলাই মামলাটি করেছেন। আসামি মীর জহুরুল ইসলাম শহরের পুরাতন কসবা গাজীরঘাট রোড এলাকার মীর শামছের আলীর ছেলে। তার মেসার্স ‘মীম এন্টারপ্রাইজ’ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেন বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারি করেছেন। আগামি ১৪ অক্টোবর আসামিকে সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ, মীর জহুরুলের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে তার কাছ থেকে ব্যবসায়িক প্রয়োজনের কথা বলে মীর জহুরুল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে তিন লাখ টাকা ধার নেন। ওই টাকা গত বছরের ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধের কথা ছিল। পরে টাকা ফেরত না দিয়ে জহুরুল তার সঙ্গে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি তিনি শহরের পুরাতন কসবা এলাকায় জহুরুলের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে পাওনা টাকা ফেরত চান। আসামি ওই সময় পাওনা টাকার বিপরীতে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখার অনুকূলে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ‘মীম এন্টারপ্রাইজের’ অ্যাকাউন্টের তিন লাখ টাকার চেক প্রদান করেন; যার নাম্বার ৯৫৮৬২৯২। কিন্তু সেই চেক চলতি বছরের ৭ জুন ডিজঅনার হয়। পরে তিনি ১১ জুন বিষয়টি নিয়ে আসামিকে উকিল নোটিস পাঠান; যা জহরুল ১৫ জুন হাতে পেয়েও কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের এসে মামলা করেন।
তবে জহুরুল ইসলামের দাবি, তিনি সিরাজুল ইসলাম নামে কোনো ব্যক্তিকে চেনেন না। তাই তার সঙ্গে লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই।