নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আসামি ধরতে গেলে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর দফায় দফায় সংঘর্ষে হয়।
সোমবার (১৩ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী বিহারী কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রবিবার (১২ জুন) দিবাগত রাতে পুলিশ বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাব পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এদিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্থানীয় জনতা।
সোমবার সকালে গ্রেফতারদের মুক্তির দাবিতে আদমজী বিহারী কলোনির সড়ক ও মূল সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা রাস্তা ছাড়বেন না বলে জানয়ে দেন। এক পর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এ সময় পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এর আগে গত শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আজিজুল হক মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, নবীকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে ভারতে। ভারতের বিষয় ভারতে থাকুক। এ নিয়ে আমরা নিজেদের দেশে বিশৃঙ্খলা না করি। এ কথা শুনে মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হলে প্রথমে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে তারা জুতা নিক্ষেপ করে। পরে তার ওপর হামলা চালিয়ে গণধোলাই দেন মুসল্লিরা। এ সময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার ও মসজিদের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রবিন ও মসজিদ কমিটির সভাপতি হাকীম মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনও আহত হয়। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে মসজিদ কমিটির সভাপতির বাসায় নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চালায় উত্তেজিত মুসল্লিরা।
এ ঘটনায় শনিবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মির্জা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ১২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার আসামি ধরতেই রোববার দিনগত রাতে অভিযানে নামে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, বিস্তারিত পরে জানাবো।