যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ সাহেদ হোসেন নয়ন ও তার পিতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবিতে যুবককে মারধরের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ফিরোজ হোসেনের মাতা শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আলী আজিম শেখের স্ত্রী সায়রা বেগম মামলাটি করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, কাউন্সিলর নয়নের পিতা ফারুক হোসেন, ইনতাজের দুই ছেলে আলমগীর হোসেন ও কামরুল ইসলাম, ছোট মণির ছেলে মানিক, পিন্টুর ছেলে জুয়েল হোসেন, শংকরপুর দিঘির পাড়ের হারানের ছেলে ভুষি সুমন ও বেজপাড়া পানির ট্যাংকি এলাকার মণির ছেলে মুন।
এজাহারে সায়রা বেগম উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে ফিরোজ হোসেনের সাথে কাউন্সিলর নয়নের পূর্ব বিরোধ ছিল। সে কারণে ফিরোজ হোসেনকে খুন জখম করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ১১ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে নয়নের অফিসের সামনে দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল ফিরোজ হোসেন। শংকরপুর বটতলা পৌঁছনো মাত্র নয়নের নেতৃত্বে আসামিরা ফিরোজের পথরোধ করে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে নয়নের অফিসের পাশে একটি ভাঙড়ি মালামালের গোডাউনের মধ্যে নিয়ে আটক রাখে। এসময় তার কাছে দাবিকৃত চাঁদার টাকা চায়। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় নয়নের পিতা ফারুক হোসেনসহ সবাই ফিরোজকে মারধর করে।
পরে ফিরোজের কাছে থাকা ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি সোনার চেন, নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং আরো ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। এসময় ফিরোজের চিৎকারে আশপালোকজন এগিয়ে এলে ওই আসামিরা চলে যায়। খবর পেয়ে ফিরোজের বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।