দিনাজপুরে পৌর শহরের নিজ বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ছয়টায় উপশহরের হাউজিং মোড় এলাকায় থেকে গৃহবধূ আরিফার (২৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরেই স্বামী বেলাল বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
নিহত গৃহবধূ আরিফা গাইবান্ধার সদরের কামারপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ ওদুদের মেয়ে। স্বজনদের দাবি, গৃহবধূ আরিফাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী।
স্বজনরা জানায়, প্রায় বছর ১৫ বছর আগে বেলাল হোসেনের সঙ্গে আরিফার বিয়ে হয়েছিল। তারা দিনাজপুরের পৌর শহরের উপশহরের হাউজিং মোড় এলাকায় একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। পেশায় হোটেল শ্রমিক বেলাল হোসেন বিভিন্ন ধরনের মাদকে আসক্ত ছিল। তাদের প্রায় দশ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে আছে।
ভোরে সেহেরি খেয়ে সকাল ছয়টার দিকে বোনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাড়িতে ফিরে আসার পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন আরিফা। শিশু আরিফ আরবি পড়তে যাওয়ার আগে সকাল ছয়টার দিকে তার বাবাকে ঘর থেকে বের হতে দেখেছেন। ঘরে ঢুকে বিছানায় আরিফার নিথর দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে স্বজনদের খবর দেয়া হয়। তবে হত্যার কারণ জানতে পারেননি স্বজনরা।
নিহত আরিফরা মা অভিযোগ করেন, স্বামী বেলাল হোসেন মাদকাসক্ত ছিল। সে প্রায়ই মেয়েকে শারীরিক নির্যাতনসহ মাদকের টাকা চাইত। টাকার জন্যই আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। মেয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাত ।
দিনাজপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু তৈয়ব দুলাল জানান, মাদকাসক্ত হয়ে বেলাল তার স্ত্রী আরিফাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। আরিফা একজন নামাজি এবং ভালো মেয়ে ছিল। মাদকাসক্ত বেলালকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করি।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাত আল মামুন জানান, বিষপ্রয়োগ ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর সঠিক কারণ জানতে পারবেন। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের মরদেহ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।