পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে রাস্তার কাজ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে লাঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার রাতে উপজেলা পাড়েরহাট ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গদারহাওলা এলাকার লোকজন চেয়ারম্যানের কাছে এসে বরাদ্ধকৃত সিদ্দিক শেখের বাড়ী হইতে কাটাখাল পর্যন্ত ইটসলিং রাস্তার সর্ম্পেকে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের লোকজন উত্তেজিত হয়। একপর্যায়ে তারা (লোকজন) পরিষদ থেকে বের হয়ে বৌডুবি বাজারে গেলে পথে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার বাবুল প্রথম এসে স্থানীয় ছিদ্দিককে অতর্কিত হামলা করে।
এসময় পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ ও তার ছেলে অন্যত্র আশ্রয় নিলে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তারই সাঙ্গোপাঙ্গ ফারুক শেখ ও ছিদ্দিক শেখ ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার ও তার ছেলে আতিকুর রহমানের উপর হামলায় চালায়।এতে তারা গুরুত্বর আহত হয়ে বর্তমানে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ইউপি সদস্য হানিফ হাওলাদার জানান,আমার ওয়ার্ডের বরাদ্ধকৃত রাস্তাটি আমাকে না জানিয়ে-ই ইউপি চেয়ারম্যান বাটাজোড় তাজু সরদার বাড়ীর সামনে বরাদ্ধ দেয়। এব্যাপারে আমি সহ আমার ওয়ার্ডের লোকেরা তার কাছে জানতে চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে চেয়ারম্যান, তার ছেলে তানভির,সাঙ্গোপাঙ্গ উজ্জল,সজল, আকারুজ্জামান ও স্বপন চৌকিদার এর নেতৃত্বে পরিষদের সামনে গনহারে আমাদের মারপিট করে।
এছাড়াও আমার ওয়ার্ডে ভিজিডি কার্ড, জেলে কার্ড,৪০ দিনের কাজ সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে আমাকে বঞ্চিত করেন। তার বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার বাবুল জানান, হানিফ মেম্বারের সাথে ৭/৮ জন লোক এসে আমাকে চার্জ করে।স্কীম কাটা নিয়ে।তখন আমি তাদেরকে বলছি ওখানে লোকজন তেমন যাতায়াত করে না তাই স্কীমটি কেটে গুরুত্বর্পু জায়গায় দেওয়া হয়েছে।তখন তারা উত্তেজিত হলে আমি তাদেরকে পরিষদ থেকে বের হয়ে যেতে বলি।