চৌগাছা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুর উদ্দীন আল মামুন হিমেল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের বেসরকারি ফলাফলে ছয় হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা জামায়াতের সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র (জগ) প্রার্থী মাস্টার কামাল আহমেদ পেয়েছেন তিন হাজার ১৭ ভোট। বিএনপির প্রার্থী আব্দুল হালিম চঞ্চল পেয়েছেন এক হাজার ১০৯ ভোট। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখার প্রার্থী শিহাব উদ্দীন পেয়েছেন ৭৪৫ ভোট।
রোববার সন্ধ্যায় যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার ও পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হুমায়ন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল আটটায় পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণের সময় কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
চৌগাছায় প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ২৪৯। নির্বাচনে মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ১১ হাজার ৪১৩। ভোটের শতকরা হার ৬৬.১৬।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে আনিছুর রহমান আনিচ (পানির বোতল), ২ নম্বর ওয়ার্ডে সাইদুল ইসলাম (উটপাখি), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে উজ্জ্বল হোসেন (উট পাখি), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিদ্দিকুর রহমান (উটপাখি), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জিএম মোস্তফা (পানির বোতল), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আতিয়ার রহমান (উটপাখি), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রুহুল আমিন (পানির বোতল), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে শাহিনুর রহমান (পাঞ্জাবি), ৯ নং ওয়ার্ডে আনিছুর রহমান (টেবিল ল্যাম্প) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১, ২ ও ৩ ফাতেমা খাতুন, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জোসনা বেগম এবং ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জহুরা খাতুন বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুল হালিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (জগ) মাস্টার কামাল আহমেদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে বলেন, তাদের এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়াসহ যেসকল এজেন্ট ছিল তাদের কে মারধর করে বের করে দিয়ে ভোটারদের হাতের ছাপ নিয়ে ভোট নিয়ে নেওয়া হয়েছে।