আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:২০

ছু’রি’কা’ঘা’তে হ’ত্যা’র পর স্ত্রীর ম’র’দে’হ ফেলে রেখে ছেলেকে নিয়ে পালালেন স্বামী

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্ত্রীর মরদেহ ফেলে রেখে ছেলেকে নিয়ে পালালেন স্বামী। অভিযোগটি উঠেছে মোক্তার হোসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। রোববার (২০ নভেম্বর) সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কাশিপুর ইউনিয়নের হাজিপাড়ার স্কুলগলির এক বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূর নাম ফাতেমা আক্তার রেখা (৪৫)। তিনি ফতুল্লা মডেল থানার কাশিপুর হাজিবাড়ি স্কুল রোডসংলগ্ন মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে।

রাতে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক আবু হানিফ জানান, অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন রেখার দ্বিতীয় স্বামী। এ ঘটনার পর থেকে মোক্তার হোসেন তার নয় বছরের শিশু সন্তানসহ পলাতক রয়েছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় মোক্তার হোসেন বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাত করে রেখাকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

রেখার ভাই সুমন জানান, দাম্পত্যজীবনে বনিবনা না হওয়ায় গত বিশ বছর আগে প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার বোনের ছাড়াছাড়ি হয়।

তালাকের পাঁচ বছর পর রেখা মোক্তার হোসেনকে বিয়ে করেন। মাশরুম নামে তাদের নয় বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। মোক্তার হোসেন প্রাইভেট গাড়ির চালক। তবে দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে মোক্তার হোসেনের বোন তাদের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। কয়েক মাস ধরে দ্বিতীয় স্বামী মোক্তার হোসেনের সঙ্গেও রেখার বনিবনা হচ্ছিল না। ফলে দু-মাস আগে রেখা তাদের সন্তান মাশরুমকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে একই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে।

রেখার ভাই সুমন আরও জানান, শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন রেখা। রোববার (২০ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে তার মা ডাকতে গেলে তার রক্তাক্ত দেহ ঘরে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন। পরে তারা মোক্তার হোসেনের ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখতে পান মাশরুমকে নিয়ে মোক্তার বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।

রেখার পরিবারের দাবি, রাতের কোনো এক সময় বাইরে থেকে ঘরের দরজা খুলে মোক্তারসহ একাধিক ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে রেখাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

উপপরিদর্শক আবু হানিফ জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের মাথার পেছনে ও মুখমণ্ডলে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোক্তার হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

আরো সংবাদ