ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তথ্য পরিবর্তনের মাধ্যমে জাল সনদ তৈরির অভিযোগে জালিয়াতি চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ আগস্ট) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- নূর রিমতি, মো. জামাল হোসেন, এ. কে. এম মোস্তফা কামাল, মো. মারুফ, ফারুক আহম্মেদ স্বপন, মাহবুব আলম ও মো. আবেদ আলী।
হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেফতার নূর রিমতি ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর সিটি মডেল কলেজ থেকে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। কিন্তু তার ইতালি যেতে এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। এ জন্য তিনি তার মামা (গ্রেফতার) জামাল হোসেনের মাধ্যমে মোস্তফা কামালের সঙ্গে তিন লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন।
চুক্তি অনুযায়ী মোস্তফা কামাল শিক্ষা বোর্ডের দালাল চক্র মারুফ, মাহবুব আলম, ফারুক আহম্মেদ স্বপন ও আবেদ আজাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ভুক্তভোগী নূর তাবাসসুমের সার্টিফিকেট সংক্রান্ত জেএসসি ও এসএসসি পাসের সব তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর তারা প্রথমে শিক্ষার্থীর বাবা ও মায়ের নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফরমেটে আবেদন করে।
ডিবি প্রধান বলেন, এরপর টাকার বিনিময়ে বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাহায্যে বোর্ডের ওয়েবসাইটের রেজাল্ট আর্কাইভে সংরক্ষিত কৃতকার্য প্রকৃত শিক্ষার্থী নূর তাবাসসুমের তথ্য পরিবর্তন করেন। সেখানে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী নূর রিমতির তথ্য আপলোড করে জাল সনদ তৈরি করেন। এমনকি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও তথ্য দেখা যায় নূর রিমতির।
তিনি আরো বলেন, এ প্রতারক চক্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ডসহ অন্যান্য বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, জন্মতারিখসহ অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন করে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তথ্য যোগ করে জাল সনদ তৈরি করতো। এর বিনিময়ে হাতিয়ে নেয়া হতো মোটা অংকের টাকা।