আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:৩৮

নকল ওষুধ তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ২

দুই বছর ধরে রাজশাহীতে নকল ওষুধ তৈরি করে বাজারজাত করছিল একটি চক্র। অবশেষে ধরা পড়েছেন চক্রটির দুইজন। শুক্রবার রাতে মহানগরীর ভদ্রা জামালপুর এলাকা থেকে নকল ওষুধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে এর মূলহোতা শফিকুল ইসলাম আনিস ও তার সহযোগী রবিউল ইসলামকে (৩২) আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এসময় জব্দ করা হয় নামিদামি কোম্পানিকে নকল করে তৈরি করা বিভিন্ন ওষুধ ও তৈরির মেশিন।

শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, এসব ওষুধ ডিলারদের মাধ্যমে বাজারজাত করা হত। অর্থাৎ বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্রি হওয়া এসব ওষুধ বাজার থেকেও উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি জানান, এসব ওষুধের মধ্যে স্কয়ার কোম্পানিকে নকল করে তৈরি করা সেকলোসহ বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকও রয়েছে। যা সেবন করে রোগীরা কোনো ফল পেতেন না।

তিনি আরও জানান, মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার শফিকুল ইসলাম আনিস নিজ বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের নকল ওষুধ তৈরি করছেন খবর আসে পুলিশের কাছে। সেই খবরে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে অভিযান চালায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় পুলিশ নকল ওষুধ তৈরির মেশিনসহ বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধও জব্দ করে।

এরমধ্যে রয়েছে নকল সেকলো এক হাজার ৮৬৪ প্যাকেট, এসবি ল্যাবরেটরিজ কোম্পানির নকল যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট পাওয়ার-৩০ ওষুধ ৭৬৯ প্যাকেট; এই ওষুধটি মোড়ক ছাড়াও ছিল আরও পাঁচ হাজার ১৮৮ প্যাকেট, সবুজ রঙের পাওয়ার-৩০ ওষুধের ৬৫ পাতা ও ১৬ কেজি খোলা পাওয়ার-৩০ ওষুধও ছিল। এছাড়া নাভানা কোম্পানির নকল পিজোফেন এক হাজার ৩৫৬ পাতা, রিলায়েন্স কোম্পানির নকল ইলিক্সিম ১২৫ পাতা ও নকল রিলাম ২২ পাতা ছিল। এসব নকল ওষুধ তৈরির মেশিন বিলিস্টার ও কমপ্রেশার মেশিনও জব্দ করা হয়েছে। 

পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, এ নকল ওষুধ কারখানা থেকে গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন কোম্পানির জনপ্রিয় ওষুধগুলোর সঙ্গে বাজারজাত করা হত। যা খেয়ে মানুষের কোনো কাজ হত না। বিশেষ করে বেশকিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও তারা বাজারজাত করেছে। যা খেয়ে কোনো কাজ হয়নি। এতে মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত