বিয়ে না করলে ফাঁস করে দেয়া হবে শারীরিক সম্পর্কের কথা। ভয় পেয়ে আসামি সুজন ভুক্তভোগী লতাকে ডেকে আনেন নির্জন জায়গায়। প্রথমে মারধর করা হয়, পরে অচেতন হয়ে গেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় লতার শরীরে।
ঘটনার ৫ দিন পর শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দমতলির শুভাট্টা এলাকায় এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যায় জড়িত সুজনকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, লতার সঙ্গে সুজনের আট-দশ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শরীরিক সম্পর্কও হয় তাদের মধ্যে। বিয়ের জন্য সুজনকে চাপ দিতে থাকেন লতা। অন্যথায় শারীরিক সম্পর্কের কথা ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, পুড়িয়ে ফেললে লতাকে কেউ চিনতে পারবে না এমন ধারণা ছিল আসামি সুজনের।
গত ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সুজন ও লতার গতিবিধি। এলাকার সাবান ফ্যাক্টরির কাছে একটি অন্ধকার জায়গায় সুজন মিয়া ডেকে আনেন লতা সরকারকে।
এরপর প্রথমে মারধর করা হয় লতাকে। একসময় অচেতন হয়ে পড়লে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যান সুজন। দগ্ধ অবস্থায় তাকে পুলিশ উদ্ধার করে রাত আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে।
পরে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে মারা যান তিনি।