ষষ্ঠ থেকে নবম-দশম ও একাদশ শ্রেণির বইয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে ভুল তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান ও একজন সদস্যকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর তাদের সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের ১৭৪ পৃষ্ঠায় ৯ নম্বর লাইনে আছে দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু হবে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৮৭ পৃষ্ঠায় শেখ মুজিবুর রহমানকে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বলা হয়েছে। অথচ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি বলা হয়েছে। একই বইয়ের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদের লাইনটিও ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
নবম ও দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ২৯ পৃষ্ঠায় বঙ্গভবনকে লেখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ভবন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল পাঁচ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ সংবিধানের কোথাও আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যের কথা উল্লেখ নেই। এমন অসংখ্য ভুল সংশোধন করতে অনেক অভিভাবক এনসিটিবিকে চিঠি দিলেও কর্ণপাত করেনি তারা। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক অভিভাবক।
রিটকারী আইনজীবী বলছেন, তারা চান দ্রুত এই রিটের শুনানি হোক। কারণ নতুন শিক্ষাবর্ষে এসব ভুল সংশোধন না হলে আবারো শিক্ষার্থীদের হাতে ভুল বই যাবে। তাই হাইকোর্টে এ রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।