মুনতাসির মামুন : যশোরের মণিরামপুরে রফিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উদঘাটন করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং-এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন শিকদার, ডিবি পুলিশের ইনসপেক্টর মারুফ আহমেদ প্রমুখ। ব্রিফিং-এ পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, কোতয়ালী, অভয়নগর ও মণিরামপুর থানা যৌথ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে হেলাল ভূঁইয়া (২০), মো. সেলিম (২২), হাসান আলী (২২), সমীরণ পাঁড়ে (৫৪) ও তাপস মোড়ল (৩৮) নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি দোনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও তাদের ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদের চরমপন্থী সংগঠন ‘নিউ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির’ সদস্য পরিচয় দিয়ে এলাকায় ঘের দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে। নিহত রফিকও একসময় তাদের সদস্য ছিলেন। ঘটনার দিন গ্রেপ্তারকৃতরা তাকে টাকা ও মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করে। গত ৯ জুলাই সন্ত্রাসীরা মনিরাপুরের কুচলিয়ায় রফিকুল ইসলামকে (৫৫) গুলি করে ও জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে।