মামুনুল হকের সঙ্গে তৃতীয় এক নারীর সম্পর্কের খোঁজ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সঙ্গে সেই নারীকেও খুঁজছিল তারা। এবার জানা গেল তৃতীয় বিয়ের দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক। গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা এক নারীকে এক বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে ওই নারীর ভাইয়ের কাছে দাবি করেন তিনি।
মাওলানা মামুনুল হকের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌসের ভাই শাহজাহান সাজু। গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এই নারীর সঙ্গে গত এক বছর আগে মাওলানা মামুনুলের বিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজাহান।
দ্বিতীয় জান্নাতও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌসের ভাই শাহজাহান সাজু। গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এই নারীর সঙ্গে গত এক বছর আগে মাওলানা মামুনুলের বিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজাহান। এ হিসেবে মাওলানা মামনুলের কথিত স্ত্রীর সংখ্যা হবে দুজন। জান্নাতুল ফেরদৌস হবে মামুনুলের তৃতীয় স্ত্রী। শাজাহান সাজু গণমাধ্যমকে বলেন, মামুনুল সাহেব শনিবার (১০ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় আমাকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানেই তিনি আমার বোনকে বিয়ের কথা জানিয়েছন। বলেছেন, ২০২০ সালে তিনি আমার বোনকে বিয়ে করেন। এসংক্রান্ত একটি স্ট্যাম্প দেখিয়েছেন।
জানা যায়, ওই নারী একটি মহিলা মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। যেখানে শিক্ষকতা করেন তার পাশেই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন ওই নারী। এই বাসাতেই মাওলানা মামুনুল মাঝেমধ্যেই যাতায়াত করতেন। ওই মাদরাসার প্রধান উপদেষ্টা হলেন মামুনুল হক।
২০১৩ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে মাস্টার্স করার সময় এই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় মামুনুল হকের। ওই পরিচয়ের সূত্রে তাদের মধ্যে কথাবার্তা হতো। আড়াই বছর আগে ওই নারীর ডিভোর্স হয়। এরপর ওই নারীকে কেরানীগঞ্জের একটি মহিলা মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেন মামুনুল হক। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
জানা গেছে, মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের এই নারীকে মামুনুল হক তার বড় বোন দিলরুবার মোহাম্দপুরের বাসায় রেখেছেন। ওই ঘটনার পর থেকে বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে জানান আত্মীয়-স্বজনরা।