আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:৫২

সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুলের নামে হয়রানির মাধ্যমে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

শাহারিয়ার হুসাইন :বেপোরোয়া হয়েছে উঠেছেন বেনাপোল কাস্টমসের ডিটিএম শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে সিএন্ডএফ কর্মচারী ও মালিকদের জিম্মি করে অর্থবাণিজ্য অসদাচরণ ও হয়রানিসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। এসবের প্রতিবাদ করলেই ফাইল আটক করে দিনের পর দিন হয়রানি করায় সিএন্ডএফ মালিক ও কর্মচারীদের মাঝে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আবার রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে খুশি করেই অনেক সিএন্ডএফ দিনের পর দিন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। হয়রানি থেকে প্রতিকার পেতে অনেক মালিক এবং কর্মচারী সাংবাদিকদের নিকট নানা অভিযোগ তুলেছেন।

বৃহস্পতিবার ১১ই মে সরজমিনে ডিটিএম ভবনে গিয়ে দেখা যায় এলাহি কান্ড, রাজস্ব কর্মকর্তাদের অধিনে থাকা অবৈধ এনজিও কর্মীরা ফাইল নিয়ে সিএন্ডএফ কর্মচারীদের সাথে দরকষাকষি করছে। দুই একজনকে গোপনে টাকা নিতেও দেখা যায় তবে তারা মালিক এবং কর্মচারীদেরকে জিম্মি কিংবা হয়রানি না করায় তাদের বিরুদ্ধে কোন মালিক বা কর্মচারী অভিযোগ তোলেননি। সাইফুল ইসলামের কক্ষে গিয়ে দেখা যায় অসংখ্য সিএন্ডএফ কর্মচারী ফাইল নিয়ে সাক্ষরের অপেক্ষায় আছেন। কিছু ফাইল সই করলেও কিছু ফাইল পাশে রেখে দিচ্ছেন। আবার কয়েকজনকে ফাইল নিয়ে এনজিও কর্মীর সাথে গোপনে দেন-দরবার করতে দেখা যায়। এনজিও কর্মী ইশরা দিলেই ফাইলে সই হয়ে যাচ্ছে।

সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সম্পর্কে সিএন্ডএফ কর্মচারী এসোসিয়েশনের এক নেতা বলেন, আমরাএই রাজস্ব কর্মকর্তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। সে বিনা কারণে এপ্রুভ ও এক্সিট ফাইল আটকে রেখে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বেশিরভাগ সময় আমদানিকারের মাল জরুরী প্রয়োজন হওয়ায় শেষ সময়ে এসে আর কেউ ঝামেলায় না গিয়ে তার অবৈধ আবদার মেনে নিতে বাধ্য হয়। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় তিনি সিএন্ডএফ কর্মচারীদের সাথে খরাপ ভাষায় কথা বলেন। তার ব্যবহার খুবই রুক্ষ এবং উগ্র।

নাম না প্রকাশ করায় অভয়ে, একাধিক সিএন্ডএফ মালিক জানান, লাইসেন্স বাতিলের ভয়ে আমরা সব জেনেও কোন প্রতিবাদ করতে পারিনা। এই রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল সব কাগজপত্র এবং ফাইল ঠিক থাকার পরেও ট্রাক ছাড়ার শেষ সময়ে অহেতুক হয়রানি করে একটা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। অফিসে ২জন এনজিও রেখে দিয়েছেন তাদের মাধ্যমেই এই ঘুষ বাণিজ্যের টাকা সে কালেকশন করে ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে।

এবিষয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বিষয়ে যে সকল অভিযোগ দিচ্ছেন সব মিথ্যা। যখন কাউকে অতিরিক্ত সুবিধা না দেওয়া হয় তখনই তারা আমার নামে এসকল মিথ্যা অভিযোগ ছড়ায়।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত