আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - ভোর ৫:৪৩

সুইডেনে কেন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে না

ভদ্রলোক গাড়ি স্টার্ট করতে গেলেন। দেখি, গাড়ি স্টার্ট হলো না। তিনি অনেকক্ষণ ধরে অনেকবার চেষ্টা করলেন, কিছুতেই গাড়ি স্টার্ট করতে পারলেন না। আর এদিকে আমি মনে মনে বলছি, সুইডেন সম্পর্কে অনেক দিন ধরে খুব ভালো ধারণা পোষণ করে আসছিলাম। আজকে থেকে মনে হয় ভিন্ন ধারণা পোষণ করতে হবে। আবার আমি নিজে নিজে ভাবছি, শীতে মনে হয় ইঞ্জিন ঠান্ডা হয়ে গেছে, সে জন্য স্টার্ট হচ্ছে না। যাহোক, আমি বুঝতে পারি আর না–ই পারি, ভদ্রলোক একটু মুচকি হাসি দিলেন, মনে হয় তিনি ঠিকই বুঝতে পারলেন, কেন গাড়ি স্টার্ট হচ্ছে না।

ঘটনাটি সুইডেনের সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করার অনেকগুলো উদ্যোগের মধ্যে মাত্র একটি। ব্যাপারটি একটু খোলাসা করে বলছি।
সুইডেনে আসার পর, ওয়ার্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক ছাত্রকে একটি স্থানীয় পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করে দেয় সে দেশের কৃষ্টি-কালচার, ইতিহাস, তাদের সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক ইত্যাদি সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা তৈরি করতে। সেই সঙ্গে আমিও একটি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। ওই ফ্যামিলির সদস্যরা আমার ফ্ল্যাটে আসত আবার আমিও তাদের বাসায় যেতাম। তাদের বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম। আর তারাও আমার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করত।
একদিন শনিবার আমাকে আমার হোস্ট পরিবারটি নিমন্ত্রণ করল তাদের বাড়িতে। মালমো থেকে আমাকে ভদ্রলোক নিজে গাড়ি চালিয়ে তাঁদের বাড়ি লুন্ড শহরে নিয়ে এলেন। মালমো থেকে লুন্ড ২৫–৩০ মিনিটের রাস্তা। সেদিন খুব বেশি বৃষ্টি পড়ছিল। এমনিতে ঠান্ডার দেশ, তার ওপর বৃষ্টি হলে ঠান্ডা আর একটু বেড়ে যায়। যাহোক, তাঁদের বাসায় অনেক খাওয়াদাওয়া করলাম। খাওয়াদাওয়ার পরে সচরাচর সুইডিশরা তাদের শরীর গরম রাখার জন্য হার্ড ড্রিংকস পান করে। যথারীতি ভদ্রলোক তাঁর নিজস্ব পানীয় পান করলেন আর আমি যেহেতু ওসব পান করি না, তিনি আমাকে অফার করলেন কোমল পানীয়।

একটু পরে খেয়াল করলাম, গৃহকর্ত্রী মিসেস এলিজাবেথ গৃহকর্তাকে বেশি পান না করার অনুরোধ জানান। যাহোক, তিনি আমাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তাঁদের বাড়ির আনাচকানাচ দেখালেন। একটা রুমে গিয়ে হঠাৎ চোখ থমকে গেল। দেখলাম, সেখানে অনেকগুলো সুভেনির, যা দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা আছে। কিছু ইসলামিক ধাঁচের চিত্রকর্মও চোখে পড়ল। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন, প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে তাঁরা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। আর যে দেশেই যান না কেন, সে দেশের একটি করে চিত্রকর্ম সংগ্রহ করেন। দেশে ফিরে এসে এই দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখেন। আমি সব কটি চিত্রকর্ম গণনা শুরু করলাম, মোট ৬৭টি দেখা গেল। আমি সত্যিই অভিভূত হলাম আর মনে মনে বললাম, যাক, পৃথিবীতে ভ্রমণপাগল আমার মতো আরও অনেকে আছেন।
এরপর ভদ্রলোক আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হলেন। আমি যথারীতি গৃহকর্ত্রীকে বিদায় সম্ভাষণ জানালাম। তিনি তাঁর বাড়ির আঙিনায় চলে এলেন আমাদের বিদায় জানানোর জন্য। ইউরোপিয়ানদের একটি প্রথা আমার খুব ভালো লাগে, সেটি হলো কোনো অতিথিকে বিদায় দিতে হলে তাঁরা তাঁদের বাড়ির শেষ সীমানায় দাঁড়িয়ে অতিথির গাড়ি চলে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকেন, আর হাত নেড়ে বিদায় সম্ভাষণ জানান।
ভদ্রলোক গাড়ি স্টার্ট করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর সঙ্গে আমি আবার বাসায় ফিরে এলাম। আরও এক ঘণ্টার মতো তাঁর বাসায় অবস্থান করলাম। পরে স্বাভাবিকভাবে গাড়িটি স্টার্ট হলো—ভদ্রলোক দক্ষ ড্রাইভার—সুন্দর করে গাড়ি ড্রাইভ করে মালমো শহরে চলে এলেন। আমাকে আমার বাসার গেটে নামিয়ে দিয়ে, এক ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় ক্ষেপণ করার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং সুইডিশ স্টাইলে বিদায় সম্ভাষণ জানিয়ে চলে গেলেন।

ডিভাইসটি ড্রাইভারের মুখের কাছে নিলে সেখানে একটি অটোমেটিক রিডিং তৈরি হয় যে চালক অ্যালকোহল গ্রহণ করেছেন কি না এবং আর গ্রহণ করে থাকলে বর্তমানে তার মাত্রা কত। একটি নির্দিষ্ট এবং মিনিমাম মাত্রায় অ্যালকোহলের উপস্থিতি থাকলে গাড়ি স্টার্ট হয়। ওই মাত্রাটি ছেড়ে গেলেই সারা দিন চেষ্টা করলেও গাড়ি স্টার্ট হবে না। আর অ্যালকোহল না নিলে তো কোনো সমস্যা নেই, সঙ্গে সঙ্গে স্টার্ট হয়ে যাবে।
ওই দিন রাতে আমি বাসায় পড়ার টেবিলে সেই দিনের বিদায়বেলার ঘটনাটি মনে করতে লাগলাম। দুদিন পরে গাড়ি স্টার্ট না হওয়ার কারণ উদ্‌ঘাটন করে ফেলেছি। বর্তমান সময়ে সুইডেনের প্রায় সব গাড়িতেই গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে নলসদৃশ একটি ডিভাইস মুখের কাছে নিতে হয়। কেউ যদি অতিমাত্রায় অ্যালকোহল গ্রহণ করে থাকে, তখন গাড়ি স্টার্ট হবে না। ডিভাইসটি ড্রাইভারের মুখের কাছে নিলে সেখানে একটি অটোমেটিক রিডিং তৈরি হয় যে চালক অ্যালকোহল গ্রহণ করেছেন কি না এবং আর গ্রহণ করে থাকলে বর্তমানে তার মাত্রা কত। একটি নির্দিষ্ট এবং মিনিমাম মাত্রায় অ্যালকোহলের উপস্থিতি থাকলে গাড়ি স্টার্ট হয়। ওই মাত্রাটি ছেড়ে গেলেই সারা দিন চেষ্টা করলেও গাড়ি স্টার্ট হবে না। আর অ্যালকোহল না নিলে তো কোনো সমস্যা নেই, সঙ্গে সঙ্গে স্টার্ট হয়ে যাবে।

ভদ্রলোক ওই দিন মনে হয় মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল নিয়েছিলেন, তাই গাড়ি স্টার্ট করতে পারেননি। সুইডেনে ঘনত্বপ্রতি জনসংখ্যার হার খুবই কম। শহর থেকে বের হলে, রাস্তাঘাটে তেমন মানুষ চোখে দেখবেন না। গাড়ির সংখ্যাও অনেক কম। কিন্তু রাস্তা ফাঁকা দেখে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কোনো সুযোগ নেই, এখানে নির্দিষ্ট স্পিডে গাড়ি চালাতে হয়। এর ব্যতিক্রম হলে পুলিশ আপনাকে ধাওয়া করবে এবং মোটা অঙ্কের জরিমানাসহ মামলা দেবে।

আমাদের পুলিশের মতো হাত দেখিয়ে তারা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে না। সবকিছু সিস্টেমেটিক চলে। এখানে পুলিশ তখনই আপনাকে ধাওয়া করবে, যখন আপনি কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল ভঙ্গ করবেন। তাই তো বেশ কয়েক বছর ধরে সুইডেনে একটি উল্লেখযোগ্য হারে সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা কমে গেছে এই ডিভাইস গাড়িতে সংযুক্ত করার ফলে। আমাদের দেশে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা শহরে শুধু মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানোর কারণে। আমরাও চাইলে এই প্রযুক্তি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ব্যবহার করে দেখতে পারি।

ইউরোপের আইনশৃঙ্খলা বিশদভাবে জানতে হলে এই অঞ্চলের অধিবাসীরা মানুষ হিসেবে কেমন, তাদের কৃষ্টি-কালচার, সমাজব্যবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থা, মানুষের ধর্মচর্চা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং সমসাময়িক বিষয়াবলি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী দেশ জার্মানি। দেশটি অর্থনীতি ও তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বলে মনে হয়। যতবারই আমি জার্মানি যাই, ততবারই দেশটি আমার কাছে নতুন মনে হয়।
কয়েক বছর আগে জার্মানির হামবুর্গ বন্দরে একটি শর্ট কোর্সে গিয়েছিলাম। ট্রেনিং শেষ করে বিকেলে প্রতিদিন হাঁটতে বের হতাম শহর দেখতে। একদিন বিকেলে আমার জার্মান কোর্সমেটের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলাম। ভদ্রলোক ভালো আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছেন।

খাওয়াদাওয়ার পর্ব শেষ করে বিদায় নিয়ে আসার সময় দেখলাম, মাঠে বেশ কয়েকটি ছেলেমেয়ে খেলাধুলা করছে। তাদের মধ্যে ১২–১৩ বছরের একটি ছেলেকে দেখলাম, তার চোখে-মুখে দুষ্টুমির ছাপ। পুরো খেলাধুলায় সে-ই দেখলাম নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার বাঁ হাতটি জ্যাকেটের হাতাতে ঢুকিয়ে রেখেছে, আর ডান হাতটি খোলা। মনে হয় তার বাঁ হাতে কিছু হয়েছে অথবা সেই হাতটি দেখাতে চাচ্ছে না। বিষয়টি আমার মনে দাগ কেটে থাকল
অসাধারণ কোনো কিছু আমার মাথায় চেপে বসলে সেটির রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে না পারলে মনে হয় আমার খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো হজম হয় না। এবারও তাই। আমার কোর্সমেটকে জিজ্ঞেস করলাম, গতকাল যে বাচ্চাটিকে দেখলাম, সে কেন তার হাতটি লুকানোর চেষ্টা করেছিল। তিনি আমাকে যে উত্তর দিলেন সেটি পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য আমি কথা বলতে পারিনি। তিনি যা বললেন তার সারাংশ হলো এই, ছেলেটি তার হাতের কবজিতে পরা ব্রেসলেটের মতো দেখতে বেল্টটি লুকানোর চেষ্টা করেছিল। এখানকার পুলিশ যেকোনো অপরাধের বেশির ভাগ শাস্তি তাৎক্ষণিকভাবে দিয়ে থাকে। যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে, সেই সব কিশোর–কিশোরীর কেউ কোনো অপরাধ করলে, তাকে কিশোর অপরাধ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। তাদের শাস্তিগুলো হয় দিন এবং কিলোমিটারে।

যেমন ধরুন, কোনো কিশোর যদি কোনো ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা বা অপরাধ করল, তাকে পুলিশ দুই মাসের জেল এবং পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থানের শাস্তি দিয়ে দিলেন। কিশোরটির বাড়ি থেকে তার স্কুলের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। কিশোরটি বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে হবে। তার বাইরে তার যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং এই শাস্তি কাউন্টডাউনের মাধ্যমে ৬০ দিন থেকে আস্তে আস্তে শূন্য দিনে চলে এলে শাস্তি শেষ হবে। এ জন্য তার বাঁ হাতে একটি বেল্ট পরিয়ে দেওয়া হয়। এটি হলো শাস্তি বেল্ট। এই বেল্টে প্রোগ্রামিং করা আছে কাউন্টডাউন শেষ হলে অটোমেটিক্যালি বেল্টটি খুলে যাবে। আর সে যদি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে পাঁচ কিলোমিটারের বাইরে চলে যায়, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কাছে সিগন্যাল চলে যাবে এবং শাস্তির মাত্রা আরও বেড়ে যাবে। আর এভাবেই তারা কিশোর অপরাধকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

এই তো কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে কিশোর অপরাধ, কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন কালারের চুল, হাতে ব্রেসলেট পরে টিকটক ভিডিও করতে গিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছিল রাজধানী ঢাকার দিয়াবাড়িতে। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে বিষয়টি মিডিয়ায় এলে আমরা জানতে পারি। আমার মনে হয় আমাদের দেশে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।

আরেকটি ঘটনা আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা যাক। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম শুক্রবার রাতে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের হেনরিক স্মিথ রেসিডেন্সে বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে পার্টি ছিল। পার্টি শেষে রাতের বেলায় কিছু ছাত্র পাশের দেশ ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গিয়েছিল। ফেরার পথে আমাদের এক আফ্রিকান বন্ধু মনে হয় একটু বেপরোয়া গাড়ি চালিয়েছিলেন। সুইডিশ পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
আমাদের কাছে খবরটা আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালাম। সেখান থেকে বলা হলো, বিষয়টি সকালবেলা সমাধান হয়ে যাবে। এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করে কোনো লাভ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলেও এমনকি এ দেশের কোনো মন্ত্রী পুলিশকে সুপারিশ করেও তাকে ছাড়িয়ে আনার কোনো সুযোগ নেই। সে যে অপরাধ বা দোষ করেছে, তার শাস্তি হওয়ার পরে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। আমাদের সেই আফ্রিকান বন্ধুটি একটি বড় অঙ্কের টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়ে পরদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয় রেসিডেন্সে চলে এল।

একটা কৌতুক বলে এই পর্ব শেষ করি।
হাইওয়েতে জলিল সাহেবের গাড়ি আটক করল পুলিশ। কর্তব্যরত সার্জেন্ট ধমক দিয়ে বললেন, ‘ব্যাপার কী? আপনি এত আস্তে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন?’
জলিল সাহেব, ‘রাস্তার শুরুতে দেখলাম, ওপরে বড় করে লেখা ২০। ভাবলাম, এই রাস্তার সর্বোচ্চ গতিসীমা নিশ্চয় ২০। তাই…’
সার্জেন্ট, ‘ওরে বোকা, এটা ২০ নম্বর রাস্তা। কিন্তু কথা হচ্ছে, আপনার গাড়ির পেছনের সিটে বসা দুজন এমন ভয়ার্ত চোখে চেয়ে আছে কেন? চুল খাড়া হয়ে আছে, দাঁত কপাটি লাগার দশা। ঘটনা কী?’
জলিল সাহেব, ‘না মানে, একটু আগে ১১০ নম্বর রাস্তা দিয়ে এলাম তো!’

লেখক: উপসচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আরো সংবাদ