আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ১:০১

কক্সবাজারের ধর্ষণের শিকার ঘটনায় অভিযুক্তরা ওই নারীর পূর্বপরিচিত!

কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী আসামিদের পূর্ব পরিচিত ছিল বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার নারীর পূর্ব পরিচিত ছিলেন ধর্ষক আশিকুল ইসলাম। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসার কথা বললেও তিন মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ভুক্তভোগী পর্যটকরা স্বীকার করেছেন বলে জানান তিনি। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারী এবং তার স্বামীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী তিন মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও এ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামের সঙ্গে তার (নারীর) পূর্ব পরিচয় থাকার কথাও স্বীকার করেছেন। আশিক তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং ১৬টি মামলার আসামি। তিনি মাদকসেবক ও মাদক ব্যবসায়ী। এ ধরনের একজন অপরাধীর (আশিকের) সঙ্গে বাইরের আরেকজন নারীর পরিচয় থাকা সন্দেহজনক। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং ঘটনার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি, যোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি শুধু একপক্ষের কথা শুনে তদন্ত করলে হবে না। যে অভিযোগটি উঠেছে তার পক্ষে-বিপক্ষে আমরা উভয়দিক বিবেচনা করে তদন্ত কাজ চালাচ্ছি।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তরা ওই নারীর পূর্বপরিচিত। তাদের মধ্যে কী নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল, অন্য কোনো বিষয় ছিল কিনা তা পুলিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে। তবে আজ ধর্ষণের শিকার হাওয়া নারীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জুরাইন এলাকায় থাকার কথা বললেও ওই দম্পতি তাদের সন্তানসহ তিন মাস ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে থাকছিলেন। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করতেন। ওই নারী পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। আশিকুল ইসলামসহ এজাহারে চার জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া তিন জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আশিকের দুই সহযোগী ইস্সল খুদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিসোর্টের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন। এর মধ্যে রিয়াজ উদ্দিনকে গত বুধবার রাতে আটক করে র‍্যাব। ঘটনার পর থেকে মামলার অন্য আসামিরা আত্মগোপনে আছেন। সন্ত্রাসী আশিকের সঙ্গে রিয়াজের চেনা জানা ও বন্ধুত্ব রয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত