দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে দিনাজপুরের হাকিমপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মূল হামলাকারী আসাদুল ওরফে আরশাদুল ইসলাম ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন।
হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ সমকালকে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ আর র্যাবের যৌথ অভিযানে তারা ধরা পড়ে। তারা দু’জন ইউএনওর বাসায় ঢোকেন। সিসিটিভিতে তাদেরই দেখা গেছে।
ওসি জানান, হামলায় জড়িতদের দুজনই মাদকাসক্ত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরশাদুল ইসলাম ঘোড়াঘাট উপজেলার রানিগঞ্জের আমজাদ হোসেনের ছেলে। আর জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। জাহাঙ্গীর ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোররাত পৌনে পাঁচটার দিকে গোপন তথ্যে পুলিশের একটি দল হাকিমপুর উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আরশাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাহাঙ্গীরকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এর আগে বুধবার রাতে ঘোরাঘাটে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে ঢুকে তার ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। উভয়েরই শরীর ও মাথায় আঘাত লেগেছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার প্রথমে তাদের রংপুরের একটি বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ঢাকায় আনা হয়। তার বাবা রংপুরে চিকিৎসাধীন।
পরে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তির পর বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।
এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঘোড়াঘাট থানায় তিনি এই মামলা করেন।