জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট এলাকার দুটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে, অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অপরাধে ১৩ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম আলমগীর জাহান, গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে যে, জেলা শহরের নতুনহাট এলাকার পৃথক দুটি বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। হনুফা খাতুন এবং রোজি বেগম নামে দু’জন মহিলা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে, জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা ও অন্যান্য জেলা হতে মেয়েদের সংগ্রহ করে। পরে তাদেরকে পতিতাবৃত্তি ও যৌন নিপীড়নের কাজে লিপ্ত করতে বাধ্য করা হয়, মর্মে অভিযোগ ওঠে।
এমন খবরের ভিত্তিতে জয়পুরহাট থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আরাফাত জনি সঙ্গীয় ফোর্সসহ শনিবার দিবাগত রাতে ওই দুটি বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত হনুফা খাতুন এবং রোজির বাসার বিভিন্ন জায়গা হতে অসামাজিক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত কনডম জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো – জেলা সদরের নতুনহাট শেখপাড়ার খোকন মিয়ার স্ত্রী হনুফা খাতুন (৩৫), একই এলাকার মৃত আবু তাহেরের স্ত্রী মালেকা খাতুন (৪৮), জেলা সদরের শহীদ জিয়া কলেজ সংলগ্ন সুকনগরের আব্দুর রশিদের মেয়ে টুম্পা খাতুন (২২), জেলার আক্কেলপুর উপজেলার শান্তনগর গ্রামের আব্দুল মালেকের স্ত্রী বৈশাখী খাতুন (২৬), কালাই উপজেলার মাত্রাই গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (৪৫) একই উপজেলার নান্দাই গ্রামের মৃত তোফাজ্জলের ছেলে মামুন (৩৫), উদয়পুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী রেজিনা (২৬),
ক্ষেতলাল উপজেলার শাজাহান বিশ্বাসের স্ত্রী রোজি (৩০), একই উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের মোকলেছের মেয়ে মোমেনা খাতুন (৩২),
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার দারিশন গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আসলাম হোসেন (৩২) এবং একই উপজেলার গোয়াল ভিটা গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে মুসা (২০), আদাইপুর গ্রামের মৃত কমল সিংয়ের স্ত্রী শ্রীমতি রীতা রানী (৩৮) এবং বগুড়া জেলা সদরের মালতিনগর-চানমারি ঘাটের বাবু আক্তারের স্ত্রী শিল্পী খাতুন (২৬)।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পরে জয়পুরহাট সদর থানায় ২০১২ সালের মানব পাচার ও প্রতিরোধ দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়।