মনিরামপুরের শ্যামকুড়ে ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) মাদ্রাসা শিক্ষক পলাতক মোঃ হাফিজুর রহমান পিতাঃ মৃত আলাউদ্দিন গ্রামঃ ইসলামপুর ডাকঘরঃ জয়েনপুর উপজেলাঃ দৌলতপুর জেলাঃ মানিকগঞ্জ কতৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে অত্র মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিশু ছাত্র মোঃ আরিফ হোসেন(১৫) আহতের ঘটনাটি আমলে নিয়ে
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হোসেন,থানা অফিসার ইনচার্য নূরে আলম সিদ্দিকী,শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেন (আলম) মাদ্রাসা শিক্ষক কতৃক শারিরীক নির্যাতনের শিকার শিশু ছাত্র আরিফ হোসেনের চিকিৎসার যাবতীয় খোঁজ খবর এবং সার্বিক ঘটনার বিশ্লেষণ,যাচাই ও তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনে করেছেন।
উল্লেখ্য ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর অত্র প্রতিষ্ঠানে গতকাল(৩রা মার্চ) রাত ৯ঃ৩০ মিনিটে মনিরামপুর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) এর নির্দেশে পুলিশের একটি টিম সেখানে তদন্তে যায়।
এর পরেই ঘটনাস্থলে যান ১২নং শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেন, তিনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আঃলীগ নেতা এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান, সৈয়দ পার্থ কামাল পলাশ,শরিফুল ইসলাম,আকরাম হোসেন,ডাঃ এস,এম আজাদ,আমজাদ হোসেন সহ স্থানীয় আরো অনেকের উপস্থিতিতে মাদ্রাসা পরিচালনা ঘরোয়া কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের নিয়ে পূর্ণ ঘটনাটি শোনেন এবং অভিযুক্ত পলাতক শিক্ষকের আটকের জন্য খোঁজ খবর নেওয়া সহ মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি সহনশীল আচরণের সাথে শিক্ষাদানের ব্যাপারে তাগিদ দেন।
মাদ্রাসার পরিচালক মোঃ মাহবুর রহমান বলেন আমাদের মাদ্রাসাটি যশোর জেলা সহ মনিরামপুর উপজেলার মধ্য ইসলামি সাংস্কৃতির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। আরিফ পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে শিক্ষক হাফিজুর তাকে জাগানোর উদ্দশ্যে লাঠি দিয়ে আঘাত করাতে ছাত্রটির চোখের চশমা ভেঙ্গে সেই কাচ চোখে লাগার ঘটনাটি ঘটার পরেই আরিফ কে মাদ্রাসার আরেক পরিচালক হাফিজুর রহমান প্রথমে কেশবপুর নিয়ে যায় এর পরে ডাক্তার বিষয়টি গুরুতর চিহ্নিত করার পর তাকে প্লেনে করে ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করা হয় এবং তার চোখে বারোটা সেলাই করা হয়েছে। সে বর্তমানে সুস্থ আছে। তিনি আরো বলেন আমরা শিক্ষক হাফিজুর কে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করেছি।
আহত ছাত্র আরিফের পিতাঃমোঃ আয়ুব আলী বলেন, আমার ছেলে বর্তমানে সুস্থ আছে, আমি ওই শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।