আজ - বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:৫৯

যশোর পৌরসভার ভোট ১১ এপ্রিল- নির্বাচন কমিশন

আগামী ১১ এপ্রিল যশোর পৌরসভার নির্বাচন। বুধবার রাতে ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ষষ্ঠ ধাপে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটলো। বুধবার রাতে কমিশনের ৭৭ তম সভায় যশোর পৌরসভার ঝুলে থাকা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। একইদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যশোরের নওয়াপাড়া পৌরসভায়ও। ষষ্ঠ ধাপে অন্যান্য যেসব পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে  সেগুলো হচ্ছে, ঝালকাঠি, লাঙ্গলকোট, ভাঙ্গা, চকরিয়া, সোনাগজী, কবিরহাট, মহেশখালী, সেতাবগঞ্জ ও দেবীগঞ্জ।
যশোর পৌরসভার নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ২০ জানুয়ারি। ২১ জানুয়ারি রিটার্নিং অফিসার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে কার্যক্রম চালানো হয়। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করেন তিন ব্যক্তি। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নির্বাচন না করতে তিন মাসের জন্য স্থগিত আদেশ দেন।  
ওই বেঞ্চের সরকারি কৌঁসুলি তখন জানিয়েছিলেন সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবিতে রিট হয় হাইকোর্টে। ওই রিটের শুনানি শেষে যশোর পৌরসভার নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন উচ্চ আদালত। যশোর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও ওই চেম্বারের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান তা মুলতবি করেন। সর্বশেষ, আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত করার আদেশ দেন। একইসাথে আবেদনটির শুনানির জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন তিনি। ফলে, ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করতে কোনো বাধা ছিল না। তবে, আপিল বিভাগের ওই আদেশের কপি নির্বাচন কমিশনে পৌঁছানোর আগেই ৯ ফেব্রুয়ারির স্থগিতাদেশের কপি পৌঁছে। যে কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে যশোরের রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবিরের কাছে নির্বাচন স্থগিত আদেশ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বাতিল করে। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যার পর নির্বাচন কমিশন থেকে রিটার্নিং অফিসারের কাছে চিঠি আসে নির্বাচন স্থগিত করার জন্য। সর্বশেষ, ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ চেম্বার বিচারপতির স্থগিত আদেশ বাতিলের বিষয়টি বহাল রাখেন। এর মাধ্যমে যশোর পৌরসভার ভোটগ্রহণে সকল বাধা দূর হয়।
মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে প্রার্থীরা পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় ভোটগ্রহণের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। যা যশোর সার্কিট হাউজে ব্রিফিংকালে উল্লেখ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। সর্বশেষ, প্রার্থীদের প্রচারণার সময় দিয়ে আগামী ১১ এপ্রিল যশোর পৌরসভার ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করল কমিশন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত