আজ - শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১১:১৪

মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া সনদে পুলিশে চাকরি- ৮ কন্সটেবলকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

মুনতাসির মামুন।।    যশোরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে চাকরির মামলায় ৮ পুলিশ কনস্টেবলকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে কোতয়ালি থানা পুলিশ। অভিযুক্ত আসামিরা হলো যশোর সদরের ঘোপ গ্রামের সাইফুর রহমানের ছেলে রানা হাসান, সুড়া গ্রামের সাধন সিংহের ছেলে বিপোদ সিংহ, কুমারেশ সিংহের ছেলে সুজল সিংহ, নরসিংহকাঠি গ্রামের অজিত কুমার বিশ্বাসের ছেলে অমিত কুমার বিশ্বাস, আন্দলপোতা গ্রামের বাশারত হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান, বাঘারপাড়ার সাইটখালি গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে বাপ্পী মাহমুদ, চৌগাছার জগন্নাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেে মনিরুজ্জামান ও গৌরীনাথপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে আলিম উদ্দিন। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সেকেন্দার আবু জাফর।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর যশোর পুলিশ লাইন মাঠে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আসামিরা কনস্টেবল পদে চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হয়। ৬ মাসের প্রশিক্ষন শেষে তাদের বিভিন্ন কর্মস্থলে যোগদান করানো হয়। এরপর তাদের দেয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যাচাই-বছায়ের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছায়ে ওই ৮ জনের দেয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ওই ৮ জনকে অসামি করে মামলা করে যশোর পুলিশ রিজার্ভ অফিসের আরওআই পরিদর্শক মশিউর রহমান। এ মামলার তদন্ত শেষে মুক্তিযুদ্ধের সনদ জালিয়াতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান ও আশিকুর রহমান বাদে সকল আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

আরো সংবাদ