আজ - শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১:৫২

বাঘারপাড়ার খাজাবাবা ক্লিনিকে সিভিল সার্জনের তালা

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজাবাবা ক্লিনিকে এবার তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কারণে তালা ঝুলানো হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। এবার নির্দেশ অমান্য করলে খাজাবাবা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিভিল সার্জনের অফিস সূত্রে জানা গেছে, পুরোপুরি অবৈধভাবে খাজাবাবা ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিলো। আলোচিত এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে অনেক কিছ্ইু নেই। এরমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইসেন্স, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সেবিকা, প্যাথলজিস্ট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,পরিবেশ অধিদফতর ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র উল্লেখযোগ্য। সূত্রটি আরো জানায়,  নানা অনিয়ম ও ত্রুটির অভিযোগে গত দুই মাস আগে খাজাবাবা ক্লিনিক পরিদর্শনে যান সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। ওই সময় অনিয়ম ও ত্রুটি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশ অমান্য করে ক্লিনিক পরিচালনা করছিলো। গত সোমবার ওই ক্লিনিক চিকিৎসাধীন এক নবজাতকের মৃত্যুতে হট্টগোল হওয়ার পর কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি ফাঁস হয়। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম খাজাবাবা ক্লিনিক পরিদর্শনে যান। এসময় নানা অনিয়মের কারণে খাজাবাবা ক্লিনিকে তালা ঝোলানোর নির্দেশ দেন সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন। এসময় বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. কৌশিক আশরাফ, বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন, সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন জানিয়েছেন, বন্ধ ঘোষণার পরও গোপনে খাজাবাবা ক্লিনিকে গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিলো। সেখানে চিকিৎসাধীন এক নবজাতকের মৃত্যুতে হট্টগোলের পর কার্যক্রম চলার বিষয়টি জানতে পারি। সোমবার ফের পরিদর্শনে গিয়ে খাজাবাবা ক্লিনিকে নানা অনিয়মের সত্যতা মেলে। ফলে এবার তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেখানে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এক প্রশ্নের উত্তরে সিভিল সার্জন জানান, নবজাতক মারা গেছে বিষয়টি সত্য। কিন্তু ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে কিনা সে বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো সংবাদ